For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

আর নয় ২ লক্ষ, মিলবে এবার ৫ লক্ষ, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্যের কিছু বিশেষ জেলায় কেউ বন্যপ্রানীর হানায় মারা গেলে তাঁর পরিবার ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ পাবে। সঙ্গে Forest Volunteer পদে চাকরি।
01:42 PM Feb 27, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
আর নয় ২ লক্ষ  মিলবে এবার ৫ লক্ষ  বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরুলিয়ার(Purulia) মাটিতে দাঁড়িয়ে বড় ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এবার থেকে রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে বন্যপ্রানীর আক্রমণে কেউ মারা গেলে(Death due to Wild Animal Attack) মিলবে ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ(5 Lakhs Rupees Compensation)। সঙ্গে থাকবে নিহতের পরিবারের ১জন সদস্যের জন্য বন দফতরের Forest Volunteer পদের পাকা চাকরি যার মাইনে শুরু হচ্ছে ১২ হাজার টাকা থেকে। এতদিন রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্ঘটনা এবং বন্যপ্রানীর হানায় কেউ মারা গেলে রাজ্য সরকারের তরফে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতো সব দিক বিচার করে। কিন্তু এদিন অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং এবং দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও সুন্দরবন এলাকায় কেউ বন্যপ্রাণীর হাতে মারা গেলে তাঁর পরিবার এককালীন ৫ লক্ষ টাকা পাবে। সেই সঙ্গে মিলবে সেই পরিবারের ১জন সদস্যের Forest Volunteer পদে চাকরি।

Advertisement

বাম জমানায় কেউ বন্যপ্রাণীর হানায় মারা গেলে চাকরি তো জুটতই না, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণও মিলতো না। সেই ছবিটা বদলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বাধীন রাজ্যের ক্ষমতাসীন মা-মাটি-মানুষের সরকার রাজ্য বিধানসভায় বিল পাশ করেছে যে রাজ্যে যারা হাতির হানায় মারা যাবে তাঁদের পরিবারের ১জন করে সদস্যকে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পদে নিয়োগ করা হবে। সেই বিল বিধানসভায় পাশ হয়ে আইন হয়ে গিয়েছে। সেই আইনের হাত ধরে ইতিমধ্যেই হাতির হানায় নিহতদের পরিজনের অনেকে রাজ্য পুলিশের হোমগার্ড পদে চাকরিও পেয়ে গিয়েছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, রাজ্যের কিছু বিশেষ জেলায় কেউ বন্যপ্রানীর হানায় মারা গেলে তাঁর পরিবার ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ পাবে। সঙ্গে Forest Volunteer পদে চাকরি। এখনও পর্যন্ত ৭৫০টিরও বেশি পরিবারের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে বন্যপ্রাণীর হানায় তাঁদের পরিবারের সদস্যের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে। সেই কারণে ১ হাজার Forest Volunteer পদ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে এই পরিবারের ১জন করে সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে।

Advertisement

জঙ্গলমহলের ৪ জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বুকে বছরে সব থেকে বেশি হাতির হানায় প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। এর বাইরেও হাতির হানায় উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার মানুষও মারা যান। আবার হাতির দল কিংবা দলছুট হাতি মাঝে মধ্যে হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, দার্জিলিং ও কোচবিহার জেলায় ঢুকে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই জেলাগুলিতেও প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে অতীতে। কার্যত সেই কারণে দেখা যাচ্ছে রাজ্যে প্রতি বছর হাতির হানায় মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। হাতির এই হানাদারির ঘটনার স্থায়ী সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কেন্দ্র সরকার কার্যত কিছুই করছে না। যা কিছু করতে হচ্ছে তা রাজ্য সরকারকেই করতে হচ্ছে। সেই হানাদারি ঠেকানো যে রাতারাতি সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করা সম্ভব নয় তা দেখেই মুখ্যমন্ত্রী আর্থিক ক্ষতিপূরণ দ্রুত প্রদানের পাশাপাশি চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছেন। কেননা তাতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

Advertisement
Tags :
Advertisement