CAA -তে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট, কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেই আবহেই দেশ জুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করেছে কেন্দ্র। আর এই আইনকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ২৩৮ টি আবেদন দায়ের হয়। মঙ্গলবার সেই আবেদনের ভিত্তিতেই শুরু হয় শুনানি। এই শুনানিতে CAA বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত । বরং কেন্দ্রের কাছে এই মামলার প্রেক্ষিতে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রকে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র এই মামলার শুনানি করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ ( IUML), কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র এবং সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে দেশের সংবিধানকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয় একাধিক মামলা। আর এদিন ছিল দায়ের হওয়া সেইসকল মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংক্রান্ত বিল পাশ করেছিল মোদি সরকার। ওই বছরের ডিসেম্বরেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বিলে সই করেন। ফলে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হয়। যদিও আইনের ধারা চূড়ান্ত করতে প্রায় চার বছর সময় নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। লোকসভা ভোটের মুখে তড়িঘড়ি করে আইন কার্যকর করার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দএ। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের রাজ্যে কার্যকর হবে না নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। যদিও সংবিধান বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আইন কার্যকর করতে বাধ্য দেশের সব কয়টি রাজ্য।