সরস্বতীপুজোয় লেগে থাকত ভিড়, মোবাইলের দাপটে ধুঁকছে সেই স্টুডিও শিল্প
নিজস্ব প্রতিনিধি: মোবাইলের দাপটে হারিয়েছে স্টুডিও শিল্প। অথচ মাত্র এক-দুই দশক আগেও এই সব স্টুডিওতে (STUDIO) লেগে থাকত ভিড়। সরস্বতী পুজোর (SARASWATI PUJA) দিনে সেই ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতেন ফটোগ্রাফাররা (PHOTOGRAPHER)। ভিড় জমত স্কুল থেকে কলেজ পড়ুয়া কতজনের। কিন্তু সেই সব স্টুডিওই আজ ফাঁকা। হারিয়ে গিয়েছে সোনালি দিন।
উত্তর কলকাতার শোভাবাজারে মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এমনই স্টুডিও ‘রাজেশ স্টুডিও’। ছবি কথা বলত প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক সন্তোষ ধেলিয়ার হাতে। তিনিই ছিলেন এই স্টুডিও’র মালিক। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় থেকে জ্যোতি বসু ছবি তুলেছিলেন এখানে। স্টুডিও প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৭৭১ সালে। সরস্বতী পুজোর দিনে তাঁর দোকানে উপচে পড়ত ভিড়। এমনকি স্টুডিও খোলার আগে থেকেই লাইন পড়ে যেত। এখন সেই দিন আর নেই। মোবাইল হাতে হাতে। তাতেই আকছার উঠছে ছবি- সেলফি। হাতে হাতে ডিএসএলআর। তাই হারিয়েছে স্টুডিও শিল্প।
রাজেশ স্টুডিওর সামনেই জয়পুরিয়া কলেজ। রয়েছে একাধিক স্কুল। তাই শাড়ি- পাঞ্জাবি পরে ভিড় জমত নাবালক নাবালিকা থেকে তরুণ-তরুণীর। শুধুমাত্র একটা ছবি তোলার জন্য। স্টুডিও’র নামেই ছেলের নাম রেখেছিলেন তিনি। সেই ছেলেই এখন স্টুডিওর মালিক। তবে হারিয়েছে ‘সোনালি দিন’। এখন সম্বল বলতে শুধুই স্মৃতি। আজ কেমন চলল বিখ্যাত স্টুডিও? সারাদিনে ছবি তুলেছে মাত্র একজন। সেই ক্ষুদে’র ছবি তোলা দিয়েই তিনি ঝালিয়ে নিলেন পুরনো স্মৃতি। সারাদিন স্মৃতি আগলে জেগে রইল স্টুডিও। আর অতীতের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে মলিন স্মৃতি ঝালিয়ে নিতে চোখ বন্ধ করলেন 'একলা' রাজেশ।