সিকিমের মঙ্গন সাংকালাং-এ ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর লাচুং এবং চুংথাং-এ আটক ১৫০০ এর বেশি পর্যটক
নিজস্ব প্রতিনিধিসিকিম ও জলপাইগুড়ি: সিকিমের মঙ্গন সাংকালাং-এ ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর লাচুং এবং চুংথাং-এ আটকা পড়েছেন ১৫০০এর বেশি পর্যটক।৪অক্টোবর, ২০২৩এ, সিকিমের(Sikkim) লোনাক হ্রদের জলে মাঙ্গানের সাংকালং ব্রিজটি সম্পূর্ণভাবে ভেসে যায়। এরপর চলতি বছরের সাংকালংয়ে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত নতুন সেতুটি বৃহস্পতিবার বিকেলে তিস্তার বন্যায় ভেঙে পড়ে। মঙ্গন জংগু এবং চুংথাং এর সাথে গ্যাংটকের একমাত্র সংযোগকারী রাস্তা হল সাংকালাং ব্রিজ। সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেতু ভেঙে পড়ায় এখনও পর্যন্ত জঙ্গু, চুংথাং, লাচেন ও লাচুং সাংকালাংয়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ফলস্বরূপ, চুংথাং এবং লাচুং-এ ১৫০০ এরও বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন। দুর্ঘটনা এড়াতে আটকা পড়া পর্যটকদের সেখানে থাকতে বলা হয়েছে। পর্যটকরা যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সূত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তথ্য পাঠানো হয়েছে এবং সিকিম সরকারও সজাগ দৃষ্টি রাখছে। সিকিম প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে যে প্রশাসন এই অঞ্চলে সংযোগ পুনরুদ্ধার করতে দিনরাত কাজ করছে, তবে অবিরাম বৃষ্টি এবং নতুন ভূমিধসের কারণে রাস্তা মেরামত ব্যাহত হয়েছে। সিকিমের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে যোগাযোগের সমস্যা হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমে এখনও পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে,জলপাইগুড়িতেএকটানা বৃষ্টি, NH31 জলঢাকায় সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করল সেচ দফতর।
জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) গজলডোবা ব্যারেজ থেকে শুক্রবার সকাল ছটায় ১৫৫০.৫৬ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে।আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে শুক্রবার সকাল থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলছে জলপাইগুড়িতে।অতি ভারী বৃষ্টি, শহর মূখী জংলী হাতির দল পাহাড়ে সমতলে ব্যাপক বৃষ্টি, ফুসছে তিস্তা সহ ডুয়ার্সের অন্যান্ নদী, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে শহরের কাছাকাছি জংলী হাতির দল।বৃহষ্পতিবার রাত থেকে চলছে অবিরাম বৃষ্টি, উত্তর সিকিমের(North Sikkim) পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল রূপ নিচ্ছে, পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি, ডুয়ার্স সহ বিভিন্ন এলাকার নদী এবং পাহাড়ী ঝোরা গুলোতে বেড়েছে জলের স্রোত।আর এতেই মানুষের পাশপাশি বন্য প্রাণী দের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে আতংক।শুক্রবার ভোর হতেই জলপাইগুড়ি শহর থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত বৈকুণ্ঠ পূর বনাঞ্চল ঘেঁষা কালিয়াগঞ্জ গ্রামে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঢুকে পরেছে বুনো হাতির দল।ঘটনার খবর পেয়ে জংলী হাতির দল টির ওপর নজরদারি শুরু করেছে বন বিভাগ।গ্রামে ছড়িয়েছে হাতির আতঙ্ক।