OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

শুধু নয় তিস্তা, ফুঁসছে উত্তরের অনেক নদীই, বন্যা পরিস্থিতি একাধিক জেলায়

ভূটান আর সিকিমে অবিশ্রাম বৃষ্টি শুরু হতে সেই নদীগুলির জলস্তর বাড়তে আরম্ভ করেছে। সেই জল নদীখাত দিয়ে ঝড়ের বেগে নেমে আসছে সমতলে।
02:46 PM Jun 13, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার রাত থেকেই বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। ফুঁসে উঠেছে তিস্তা(Teesta)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফুঁসে উঠেছে ডুয়ার্সের নদীগুলিও। একদিকে সিকিম(Sikkim) আর ভূটানে(Bhutan) অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে, অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তিস্তা ফুলেফেঁপে ওঠায় গজলডোবা ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে এদিন সকাল থেকেই। আর তার জেরে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হওয়ার আশঙ্কা করছেন তরাই, ডুয়ার্সের বাসিন্দারা। গত বেশ কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি চলছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার-সহ গোটা তরাই, ডুয়ার্সে(Dooars)।  ভূটান আর সিকিম থেকে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত সমস্ত নদীই বাংলায় প্রবেশ করেছে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, রায়ঢাক, তেমনই রয়েছে অজস্র ছোট নদী। ভূটান আর সিকিমে অবিশ্রাম বৃষ্টি শুরু হতে সেই নদীগুলির জলস্তর বাড়তে আরম্ভ করেছে। সেই জল নদীখাত দিয়ে ঝড়ের বেগে নেমে আসছে সমতলে। ফলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা(Flood like Situation) উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার।

 স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ডুয়ার্সের নদীগুলিতে তেমন জল ছিল না। কিন্তু বেলা বাড়তেই জলস্তর বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিজ্ঞতা বলে, এই সব পাহাড়ি ঝোরা বা নদীতে জলস্তর কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে মাত্র কয়েক মিনিট। যে হারে ভূটানে আর সিকিমে একটানা বৃষ্টি চলছে, তাতে প্রমাদ গুনছেন সমতলের মানুষ। ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের সুখানি নদীর জল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার মনমোহনধুরা যাওয়ার পথে একটি সেতুর ওপর দিয়ে বইছে সুখানির জল। ওই সেতুর ওপর দিয়ে মনমোহন ধুরার মানুষ যাতায়াত করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে ওই সেতুর ওপর দিয়ে জল বইতে থাকায় মনমোহন ধুরা গ্রামের সঙ্গে নাগরাকাটা বাজারের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, জল না কমা পর্যন্ত যাতায়াত অসম্ভব। অন্য দিকে, ফুঁসছে তিস্তাও। জলপাইগুড়ির গজলডোবা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। ফলে তিস্তার নিম্ন অববাহিকায় জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে।  বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় গজলডোবা ব্যারেজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর। পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে তিস্তা ছাড়াও জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে জলঢাকা, সংকোশ, ডায়না, তোর্সার মতো অপেক্ষাকৃত বড় নদীর। এ ছাড়াও বিভিন্ন ছোট ছোট নদীও নব উদ্যমে ছুটে চলেছে।

Tags :
BhutanDooarsFlood like Situationnorth bengalSikkimTeesta
Next Article