ছট পুজো উপলক্ষ্যে ঘাটে ঘাটে থাকছে অভিষেকের দূত
নিজস্ব প্রতিনিধি: রবি বিকালে কলকাতা শহরের(Kolkata) ঘাটে ঘাটে ভিড় জমতে শুরু করে দিয়েছে ছট পুজোর(Chath Puja) পূণ্যার্থীদের। গঙ্গায় নেমে কেউ এক বুক জলে দাঁড়িয়ে আবার কেউ এক কোমর জলে দাঁড়িয়ে সূর্য দেবতাকে অর্ঘ্য প্রদান করবেন। সেই পুজো করতে গিয়ে যাতে কেউ বিপদে না পড়েন তার জন্য সব ঘাটে থাকছে ‘অভিষেকের(Abhishek Banerjee) দূত’রা। মূলত, ভিড়ের মধ্যে পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেই তৃণমূলের(TMC) এই বিশেষ কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি এই দূতেরা থাকছেন হাওড়া(Howrah) শহরের একাধিক ঘাটে। উত্তর ২৪ পরগনা ও হুগলি শিল্পাঞ্চল এলাকার ঘাটগুলিতেও থাকছে অভিষেকের দূত। কলকাতা সহ ৪টি জেলার মোট ১০০টিরও বেশি ঘাটে পুজো চলার সময় হাজির থাকবেন অভিষেকের এই দূতেরা। দলের তরফ থেকে এই কর্মসূচিতে দলের প্রতিনিধিরা থাকলেও, রাজ্যের আরও একাধিক এলাকায় দলের তরফ থেকে প্রতিনিধিরা থাকবেন। পুণ্যার্থীদের জন্য ঘাটে-ঘাটে বসানো হয়েছে সাহায্য কেন্দ্রও।
আগে দুর্গাপুজোর সময় কলকাতা-সহ বেশ কিছু এলাকায় অভিষেকের দূত কাজ করেছে জরুরি পরিষেবার জন্যও। তার পর এবার ছটপুজোর সময়ও সেই কর্মসূচি নিয়ে নামছে অভিষেকের দূতেরা। এবারও যথারীতি গঙ্গার ঘাটে পুজো দিতে গিয়ে পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার দিকে নজর দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকেই কলকাতা, হাওড়া সহ ৪টি জেলার গঙ্গার ঘাটগুলিকে পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। ঘাটগুলিতে যাতে কোনওভাবে দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না ঘটে তার জন্য বিভিন্ন থানা নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে। ঘাট থেকে গঙ্গার নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত ব্যারিকেড করে দেওয়াও হয়েছে। বাঁশ ও দড়ি দিয়ে দুটি স্তরের ব্যারিকেড হয়েছে। ছটপুজোর জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছরও লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে এদিন বিকালে ও আগামিকাল ভোরে। তাই সমস্ত ঘাটে পর্যাপ্ত আলো দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। থাকছে পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ। থাকছেন পদস্থ পুলিশ কর্তারাও। সেই সঙ্গে থাকছে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি। ঘাটগুলিতে আরও সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। স্নান করতে নেমে দুর্ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লঞ্চ ও নৌকায় থাকছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডুবুরিরাও।