OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

বউবাজারের বিস্ফোরণের চক্রী খালিদকে সমাজের মূলস্রোতে ফেরানোর নির্দেশ

খালিদকে সমাজের মূলস্রোতে ফেরানো নির্দেশ দেওয়া হলেও রাজ্য সরকারের আপত্তিতে সেই নির্দেশের ওপর ৪ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
02:52 PM Apr 11, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৯৯৩ সালের ১৬ মার্চ গভীর রাতে কলকাতার(Kolkata) বউবাজার এলাকার বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একটি দোতলা বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা(Bowbazaar Blast) ঘটে। সেই বিস্ফোরণে বাড়িটি কার্যত গুঁড়িয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় আশেপাশে আরও এবশ কিছু বাড়ি। ওই ঘটনায় সেই সময় মোট ৬৯জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণের মামলায় একদা কলকাতার সাট্টা কারবারের ‘বেতাজ বাদশা’ রশিদ খানের(Rashid Khan) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। একইসঙ্গে বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী মহম্মদ খালিদকে(Muhammad Khalid) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কেননা এই খালিদ ছিল রশিদের ছায়াসঙ্গী। এবার সেই খালিদকেই সমাজের মূলস্রোতে ফেরানো নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। তবে রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা আছে। তাই আদালত এই নির্দেশের ওপর ৪ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

বউবাজার বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছিল যে, রশিদ খানের কাছে যে পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল, তা গোটা কলকাতা উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। যদিও সেই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত আর বাস্তবায়িত হয়ে ওঠেনি। খালিদের জীবনের ৩ দশক কেটে গিয়েছে জেলের ভিতরে। কয়েক বছর আগে খালিদ জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারের Sentence Review Board-এ আবেদন করে। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হয় খালিদ। খালিদের দাবি ছিল, তিন দশকের জেলজীবনে তাঁর চারিত্রিক পরিবর্তন হয়েছে। এবার সে সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চায়। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানায়, ‘এ ক্ষেত্রে স্পষ্ট যে আবেদনকারীর ৩ দশকের চারিত্রিক পরিবর্তন সরকারের দৃষ্টি এড়িয়ে গিয়েছে। তার অতীতের ছায়া যদি বর্তমানের ওপর এতটা প্রভাব ফেলে তাহলে সেটা অনভিপ্রেত। তাছাড়া শাস্তি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যই তো অপরাধীকে শুধরে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানো। তাই মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তি দিতে হবে বউবাজার বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রীকে। তাঁর বন্দিজীবনে ইতি টেনে তাঁকে এবার সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে খালিদকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিক Sentence Review Board।’

এমনিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতদের মুক্তি দিতে রাজ্য সরকারের একটি সাজা পুনর্বিবেচনা পর্ষদ বা Sentence Review Board রয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া বন্দির আচার-ব্যবহার কেমন, কতটা বদল হয়েছে তাঁর মানসিকতার, তিনি যে-অপরাধে জেল খাটছেন, সেই সাজা এত দিনে যথেষ্ট হয়েছে কি না ইত্যাদি বিষয় তাঁর মুক্তির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত সাজা খাটার ১৪ বছর পরে সরকারের সাজা পুনর্বিবেচনা পর্ষদ সংশ্লিষ্ট বন্দির মুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনা করে। খালিদের ক্ষেত্রে জেলযাত্রার পর ৩১ বছর কেটেছে। সেটা বিবেচনা করেই ১৫ দিনের মধ্যে তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সব ঠিক থাকলে দ্রুত সে মুক্তিও পাবে। তবে, রাজ্য সরকারের আপত্তিতে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়া পিছিয়ে গিয়েছে মাসখানেক। কেননা চার সপ্তাহের জন্য ওই রায় কার্যকরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

Tags :
Bowbazaar BlastCalcutta High CourtKolkataMuhammad KhalidRashid Khan.
Next Article