OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

মুখ ফিরিয়ে মমতা, মহাসংকটে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচির আয়োজকরা

‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচির অনুষ্ঠানের আয়োজকদের এখনও সময় দেননি মুখ্যমন্ত্রীও। আর তাই মহাসংকটে পড়ে গিয়েছেন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা। 
11:45 AM Dec 15, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখে তাঁরা বলছেন, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক আয়োজন। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) নেতাদের ভিড় সেই দাবিকে সমর্থন করছে না। আর তাই তাঁদের সময়ও দিচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister of Bengal)। আগামী ২৪ ডিসেম্বর কলকাতার(Kolkata) ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে(Brigade Parade Ground) ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচি আয়োজন করেছে বেশ কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister of India) নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও(Mamata Banerjee)। বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের যৌথ প্রয়াসে হলেও এই কর্মসূচির নেপথ্যে রয়েছে রাজ্য বিজেপি। সেটা যেমন তৃণমূল নেতৃত্বের নজর এড়িয়ে যায়বি তেমনি এটাও সামনে এসেছে যে ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্তড়ীকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হলেও বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রীকে। যেহেতু এই অনুষ্ঠান সরকারি অনুষ্ঠান নয়, তাই প্রোটোকল মেনে সেই অনুষ্ঠানে থাকতে বাধ্য নন মুখ্যমন্ত্রীও। ঘটনাচক্রে কলকাতা পুলিশ যেমন এখনও এই অনুষ্ঠানের ছাড়পত্র দেয়নি, তেমনি অনুষ্ঠানের আয়োজকদের এখনও সময় দেননি মুখ্যমন্ত্রীও। আর তাই মহাসংকটে পড়ে গিয়েছেন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা। 

সংকট কোথায়? যে ২৪ ডিসেম্বর এই ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে সেদিনই আবার রয়েছে রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য TET। প্রথমে ঠিক ছিল এই পরীক্ষা হবে ১০ ডিসেম্বর। কিন্তু পরে সেই তারিখ পিছিয়ে ২৪ ডিসেম্বর করা হয়েছে। TET’র সেই দিনবদল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয়, বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ কলকাতা হাইকোর্টে এই পরীক্ষার দিনবদল চেয়ে আর্জিও জানিয়েছেন। পরীক্ষার তারিখ পিছোনো হবে না, এমনতা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি জোরকদমে সেরে রাখছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও। ২৪ তারিখ যে TET হচ্ছে, সেটা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রেল। কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, ওই দিন TET’র কারণে রবিবার হলেও সকাল ৬টা ৫০ মিনিট থেকে ট্রেন চালানো হবে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিওবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে TET’র দিনবদলের আর্জি জানিয়েছেন ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচির আয়োজকরা।

এই বিষয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী জানিয়েছেন, ‘আমরা আদালতে যাব না। তবে গীতাপাঠের দিন কোনও ভাবেই পিছনো হবে না। গত বছরেও নবদ্বীপে গীতা জয়ন্তীর পরের রবিবারে অনুষ্ঠান করেছিলাম। এ বার তা আরও বড় আকারে হবে। এমন ভাবে হবে যা, বিশ্বের কোথাও কখনও হয়নি। আমি সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রার্থনা জানাতে চাই, যাতে TET’র দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের কর্মসূচিতে যোগ দিতে চান এমন অনেকেই রয়েছেন যারা অনেক আগেই TET-এ বসার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তারা TET’র জন্য ব্রিগেডে আসতে পারবেন না। অনেক শিক্ষক শিক্ষিকাও রয়েছেন, যাঁরা TET পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। এ ছাড়াও পরীক্ষার্থী এবং সনাতন ধর্মের ভক্তদের পথেঘাটে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে। তাই আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী সদয় হয়ে পরীক্ষার দিন পিছিয়ে দিন। আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের বন্ধু বা শত্রু নই। আমরা তো শাসক ও বিরোধী দলের সব বিধায়কদেরই আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তৃণমূলের অনেকেই পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন। আমাদের কর্মসূচির সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকেই অনুষ্ঠানে আসতে চেয়েছিলেন। সকলের সঙ্গে গীতাপাঠ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজি হলে তাঁকেও যথাযথ সম্মানে স্বাগত জানানো হবে।’

তবে ঘটনা হচ্ছে, আয়োজকরা এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে চান। সেই সূত্রে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এখনও অবধি তাঁদের সেই সময় দেননি। সেই সময় তিনি দেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ থাকছে। সব থেকে বড় প্রশ্ন, শেষ পর্যন্ত লক্ষ লোকের সমাবেশ হবে তো ব্রিগেডের বুকে? নাকি তা ধর্মতলার শাহি সভার মতোই ফ্লপ সভা হবে! এই প্রশ্নও কিন্তু উঠতে শুরু করে দিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের মুখে মমতা কখনই বিজেপিকে জমি ছেড়ে দেবেন না। তাই তিনি সম্ভবত এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদেরও সময় দেবেন না তাঁর হাতে আমন্ত্রণ পত্র তুলে দিতে। আর আদালতে যদিও সরকারি আইনজীবী ধর্মীয় সমাবেশ অপেক্ষা TET’র গুরুত্ব বেশি করে তুলে ধরেন তাহলে আদালত কী পারবে এই পরীক্ষার দিন বদলের নির্দেশ দিতে, যেখানে প্রস্তুতি মোটামুটি সেরে ফেলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে লক্ষ কন্ঠের গীতাপাঠের কর্মসূচীতেই না আদালতের নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে।

Tags :
Bengal BjpBrigade Parade GroundChief Minister of BengalKolkataMamata BanerjeeNarendra modiPrime Minister of IndiaTET
Next Article