ভারত-পাক ম্যাচ দেখতে গিয়ে নিউইয়র্কের রাস্তায় গুলিতে ঝাঁঝরা পাক-ইউটিবার
নিজস্ব প্রতিনিধি: ১ জুন থেকে শুরু হয়েছে T20 বিশ্বকাপ। গত শনিবার ছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ম্যাচের প্রথমদিকে ভারত খেল দেখাতে না পারলেও শেষে পাকিস্তানকে হারিয়ে জিতে যায় বিরাট কোহলি বাহিনী। যাই হোক, ৯ জুন ভারত-পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি দেখতে গোটা বিশ্ব থেকে অসংখ্য দর্শক গিয়েছিলেন নিউইয়র্কে। আর হাইভোল্টেজ ম্যাচটি গোটা বিশ্বজুড়ে ব্যপক কভারেজ পেয়েছে। যার মধ্যে একজন ছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় ইউটিউবার সাদ আহমেদ। তিনি নিজের দেশকে সমর্থন করতেই সেখানে গিয়েছিলেন কিন্তু এটাই যে তাঁর শেষ কভারেজ হবে, তা হয়তো তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। তিনিও ম্যাচটি কভার করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্টের জন্যে নিউইয়র্ক কাউন্টি স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটাই হল ইউটিউবারের জীবনের শেষ দিন। পাকিস্তানের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউটিউবার যখন নিউইয়র্কের কাউন্টি স্টেডিয়ামের রাস্তায় ম্যাচের জন্যে দর্শকদের ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন, তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে নিরাপত্তারক্ষীর এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ করেন, এবং গুলিতে ঝাঁঝড়া হয়ে যান ইউটিউবার। এরপরেই ঘটনাস্থলে মারা যান ওই ইউটিউবার।
সূত্রের খবর, পাক-ভারত ম্যাচের আগে নিহত ইউটিউবার নিউইয়র্কের মোবাইল মার্কেটে গিয়ে বেশ কয়েকজন দোকানদারের ভিডিও এবং বাইট নিচ্ছিলেন। সাদ তাঁদের মতামত নেওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন। সেই কভারেজে ইউটিউবার উল্লিখিত নিরাপত্তারক্ষীদেরও দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রহরীরা চিত্রগ্রহণ করতে আগ্রহী ছিল না এবং তাঁরা সাদকে অনুরোধ করেছিল যে, তিনি যেন তাঁদের ছবি বা ভিডিও না তোলেন। কিন্তু বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও নিরাপত্তারক্ষীদের ছবি এবং ভিডিও তুলতেই থাকেন ইউটিউবার। অবশেষে, গার্ড তার শান্ত হারায় এবং ইউটিউবারকে গুলি করে হত্যা করে। তবে সাদকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। অর্থাৎ হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মারা গিয়েছেন ইউটিউবার।
সাদের এক বন্ধু দাবি করেছেন, তিনিই তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। ম্যাচের বিল্ড-আপ কভারের জন্য নিহত ইউটিউবার নিউইয়র্কে চলে যাওয়ার আগে তার সঙ্গে কথাও বলে গিয়েছিলেন। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে যে ইউটিউবার গুলি করার আগে গার্ডের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ প্রহরীকে আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত গার্ড ইনস্টাগ্রাম পোস্টে উদ্ধৃত করেছে যে, "ওই ইউটিউবার আমার মুখের কাছে মাইক আনতে থাকেন এবং চিত্রগ্রহণ করতে থাকেন। আমি আমার মেজাজ হারিয়ে ফেলে তার উপর গুলি চালিয়ে দিই।"