For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

পঞ্চায়েত সমিতি এখন ভোগের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে, দাবি বিজেপির কর্মাধ্যক্ষের

উন্নয়নকে ছাপিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি এখন ভোগের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আক্ষেপ শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দুর্গাপদ বাড়ীর।
10:29 AM Mar 31, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
পঞ্চায়েত সমিতি এখন ভোগের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে  দাবি বিজেপির কর্মাধ্যক্ষের
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের যে গুটিকয় পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপির দখলে গিয়েছিল তার মধ্যে রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের(Purba Midnapur) তমলুক সদর মহকুমার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের(Sahid Matangini Block) পঞ্চায়েত সমিতিটি। কিন্তু সেই পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম এবং এলাকার বিজেপি(BJP) নেতাদের কাজকর্ম নিয়ে এলাকাবাসীর যেমন ক্ষোভ রয়েছে তেমনি ক্ষোভ রয়েছে বিজেপির অন্দরেও। এবার সেই ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢাললেন শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির(Panchayat Samity) কৃষি সেচ ও সমবায় স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দুর্গাপদ বাড়ী(Durgapada Bari)। তাঁর দাবি, উন্নয়নকে ছাপিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি এখন ভোগের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই বক্তব্যের দরুন এখন লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকায় বিজেপির কার্যত মাথা কাটা যাচ্ছে।

Advertisement

সত্তরোর্ধ্ব দুর্গাপদবাবু আজও ভাঙাচোরা সাইকেলে ঘুরে বেড়ান। ৩০বছর আগে পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৯৮সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করলেও ২০১৩-১৪ সাল নাগাদ পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্মে বীতশ্রদ্ধ হয়ে দল ছাড়েন। গত বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের খারুই-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে নিজের এলাকা থেকে পঞ্চায়েত সমিতির আসনে জয়ী হন। শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৬টি, তৃণমূল কংগ্রেস ১৩টি ও সিপিএম ১টি আসনে জয়ী হয়। বিজেপির ওই ১৬জনের মধ্যে মধ্যে দুর্গাপদবাবুও রয়েছেন। বিজেপি তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষও করঅছে। দায়িত্ব পাওয়ার প্রায় ৮ মাস বাদে শনিবার নিজের পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে বসে দুর্গাপদবাবু সংবাদমাধ্যমের সামনেই তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। দুর্গাপদবাবুর দাবি, পঞ্চায়েত সমিতিতে কোনও কাজ করা যায়নি। পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে কাজের পরিবেশও নেই। কেউ কেউ এই প্রতিষ্ঠানকে লুটেপুটে নেওয়ার জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এনিয়ে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেছি। সুরাহা হয়নি।

Advertisement

ঘটনা হচ্ছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে বিজেপি ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করলেও, স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে চলে আসে। এখন পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী সঙ্গীতা আদক মাইতির সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের কোনও সম্পর্কই নেই। দলের কর্মসূচিতেও তিনি ডাক পান না। টানা ৩ বার অর্থ স্থায়ী সমিতির মিটিং বাতিল হয়েছে। দলের সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডের সম্পর্ক তলানিতে। তার প্রভাব পড়ছে উন্নয়নে। দুর্গাপদবাবুর আক্ষেপ, ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের জন্য কাজের সুযোগ পেয়েও আমরা করতে পারছি না। এটা আমাদের ব্যর্থতা। পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে দলের দূরত্ব বেড়েছে। সমিতি এখন কয়েকজনের আখের গোছানোর জায়গা। এসব দেখলে খুব কষ্ট হয়। হলদিয়ায় দলের সভায় শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের দলীয় কোন্দল মেটানোর জন্য আর্জি জানিয়েছিলাম। কিন্তু, সেই কথায় কর্ণপাত করা হয়নি। এরফলে যা হওয়ার তা‌ই হচ্ছে।

Advertisement
Tags :
Advertisement