রিপন স্ট্রিটে গুলি কাণ্ডে জামশেদপুর থেকে গ্রেপ্তার কুখ্যাত গ্যাংস্টার সোনা
নিজস্ব প্রতিনিধি: অবশেষে কলকাতা পুলিশ পার্ক স্ট্রিটে গুলি কাণ্ডে অভিযুক্ত সোনাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হল। কলকাতা গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখার (ARS)অফিসাররা জামশেদপুর থেকে মঙ্গলবার রাতে সোনাকে গ্রেফতার করে। বুধবার তাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। তাকে রাখা হয়েছে লালবাজারের সেন্টাল লক আপে। পার্ক স্ট্রিটে গুলি কাণ্ডে তদন্তে নেমে গোয়েন্দা বিভাগের নজরে আসে মোঃ ফইউদ্দিন ওরফে সোনার(Sona) নাম। এরপর তাকে খোঁজা শুরু হয়। কিন্তু পুলিশ খুঁজে বুঝতে পেরেই সোনা বিহারে পালিয়ে যায়। গোয়েন্দারা জানতে পারে সোনার বাড়ি বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলাতে। তার শ্বশুর বাড়ি বিহারের সাসারামে।
সোনার সন্ধানে পুলিশ নেটওয়ার্ক মজবুত করে। শুরু হয় সোনার সঙ্গী সাথীদের মোবাইল ফোনে আঁড়ি পাতার পর্ব। একইসঙ্গে গোয়েন্দাদের দুটি টিম বিহারে রওনা দেয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার হয় সোনা। প্রসঙ্গত, তিন জেলার কুখ্যাত গ্যাংস্টার রশিদ আলম ওরফে গব্বর তার শ্যালক হলেন সোনা। মধ্য কলকাতার কুখ্যাত গ্যাংস্টার আখতার মেহমুদের দলের সদস্য সোনা। ধৃতকে ঝাড়খণ্ডের গিরিডির কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭/৩৪ ও বেআইনি অস্ত্র রাখার অপরাধে ২৫ ও ২৭ ধারায় মামলা দায়ের করেছে গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখা। ধৃতকে বৃহস্পতিবার আদালতে(Court) পেশ করবে গোয়েন্দা বিভাগ।দীর্ঘদিন থেকে গব্বর ও সোনার গ্যাং মধ্য কলকাতা পূর্ব কলকাতা দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। খুনের চেষ্টা, অপহরণ , মারপিট, প্রোমোটিং ও ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে তোলাবাজি করতে যথেষ্ট তৎপর এই দুষ্কৃতীদের গ্যাং।
তিলজলাতে বান্টি(Banti) খুনের ঘটনায় ২০০১ সালে ডিসেম্বর মাসের পর গব্বর গ্রেপ্তার হয়। তার আগে সোনা তিলজলার চুন্নু মিয়ার দলে যুক্ত ছিল। সুপারি নিয়ে অপহরণ কিংবা তোলাবাজি কিংবা ভয় দেখানো বা খালাস করে দেওয়ার মতো নানা কাজে পটু এই সোনা নামে দুষ্কৃতী। কিন্তু এই রকম একটি অপরাধের দল বানিয়ে গোটা শহর দাপিয়ে বেড়ানো গ্যাং টির নাগাল এতদিন লাল বাজারের গুন্ডা দমন শাখা কিংবা কলকাতা পুলিশ পাইনি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখন দেখা যাক সোনার সূত্র ধরে এই অপরাধচক্রের বাকিদের নাগাল কলকাতা পুলিশ পায় কিনা।