লোকসভায় হানাকাণ্ডে ধৃতদের বিরুদ্ধে UAPA ধারায় মামলা
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভায় আচমকা হানা দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ। ঘটনায় ধৃত পাঁচজনকে আজ বৃহস্পতিবারই আদালতে পেশ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ারও আর্জি জানাবে দিল্লি পুলিশ। বুধবার রাত পর্যন্ত হানাকাণ্ডে মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও ষষ্ঠ অভিযুক্তের এখনও সন্ধান মেলেনি।
গতকাল বুধবার দুপুরে আচমকাই লোকসভার গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাংসদ আসনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি নামে দুই যুবক। কর্নাটকের মহীশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অতিথি হিসাবেই লোকসভার দর্শক গ্যালারিতে ঢোকার অনুমতি পেয়েছিলেন দুজনে। সাংসদ আসনে পৌঁছেই দুজনে রং বোমা ছুড়তে শুরু করেন। দুজনকেই পাকড়াও করেন সাংসদরা। ওই দুই যুবকের সঙ্গে ছিলেন এক মহিলা এবং এক যুবক। ওই দু’জনের নাম আনমল শিন্ডে এবং নীলম। তাঁরা সংসদের নতুন ভবনের সামনে ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। চার জনকেই গ্রেফতার করে সংসদ মার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চলছে জেরা।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভায় ঢুকে হুলুস্থুলু বাঁধিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার সঙ্গে মোট ৬ জন জড়িত ছিলেন। কয়েক মাস ধরেই লোকসভায় ঢুকে শোরগোল ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এদিন যে চার জনকে সংসদ ভবন চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের সঙ্গে ওই পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন আরও দুই জন। গুরুগ্রামের সেক্টর ৭-এর হাউজিং বোর্ড কলোনি এলাকায় বিক্রম শর্মা ওরফে বিক্কি শর্মার বাড়িতেই ডেরা বেঁধেছিলেন সবাই। লোকসভায় হুলুস্থুলু বাঁধানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই গুরুগ্রাম থেকে বিক্রম শর্মা ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করা হয়। গোয়েন্দাদের জেরার মুখে ধৃতরা জানিয়েছেন, তারা কোনও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন।