OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

ভুল করেছেন তাপসবাবু, বলছে এবার বরানগর

তাপসের পদক্ষেপ বরানগরের কেউই মেনে নিতে পারছেন না। তাঁদের দাবি, শেষ হাসি তৃণমূল আর সুদীপই হাসবে। তাপসের হাতে কাঁচকলা ভিন্ন আর কিছুই থাকবে না।
12:07 PM Mar 30, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘বিরোধ ওনার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Sudip Banerjee) সঙ্গে। আমাদের দোষ কোথায়। আমরা কী করলাম?’ এটা যদি একজনের বক্তব্য হয় তো, অপর একজনের দাবি, ‘শুধু বরানগর কেন, গোটা কলকাতাই তৃণমূলের(TMC) গড়। এটা কী উনি জানেন না? বেকার বেকার নিজের কেরিয়ারটা ডোবালেন!’ কেউ আবার বলছেন, ‘শুনুন, উনি যতই দাবি করুন না কেন নিঃশব্দ বিপ্লব হবে, সেটা মুখের বুলি মাত্র। যে বিপ্লবটা হবে সেটা গোটা বাংলার মানুষ জানে।’ আরেকজনের বক্তব্য, ‘বলি কার বাড়িতে ইডি-সিবিআই যায়নি বলুন তো। সুজিত বসুর বাড়িতেও গিয়েছে, ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে গিয়েছে, এদের কে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে? ওনার মাথায় ব্যামো হয়েছে তাই সব কিছু ছেড়েছুড়ে বিজেপিতে গিয়ে বসে আছেন।’ যাকে ঘিরে এত কথা, তিনি হলেন তাপস রায়(Tapas Roy)। উত্তর শহরতলির বরানগর বিধানসভা(Baranagar Assembly) কেন্দ্রের ৩ বারের তৃণমূল বিধায়ক। সেই বিধায়ক পদ ত্যাগ করে তিনি গিয়েছেন বিজেপিতে(BJP)। ২৪’র ভোটে পদ্ম শিবির তাঁকে দাঁড় করিয়েছে উত্তর কলকাতা কেন্দ্র থেকে, তৃণমূলেরই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু তাপসের এহেন পদক্ষেপ বরানগরের কেউই মেনে নিতে পারছেন না।

৭৩ বছরের সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে বহু দিকপাল রাজনৈতিক নেতার লড়াই দেখেছেন বরানগরবাসী। ১৯৫১ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এখান থেকে টানা ৬ বার জয়ী হয়েছেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। তারপর ১৯৭২ সালের ভোটে এখান থেকে জয়ী হন সিপিআই’র শিবপদ ভট্টাচার্য। ১৯৭৭ থেকে ২০০৬ সাল অবধি এই আসন থেকে আরএসপির প্রার্থীরা লড়াই করেছেন, জিতেওছেন। সেই হিসাবে দেখলে বরানগর কিন্তু দুর্ভেদ্য বামদুর্গ। কিন্তু সেই দুর্গেরই পতন ঘটেছিল ২০১১ সালে। পরিবর্তনের ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে যায় বামপন্থীরা। জয়ী হয় তৃণমূল। জয়ী হন তাপস রায়। তারপর ২০১৬ এবং ২০২১ সালের ভোটেও তাপসবাবু জয়ী হন বরানগর থেকে। তিনি যে শুধু তৃণমূলের ৩ দফার বিধায়ক তাই নন, ছিলেন উত্তর কলকাতার তৃণমূলের সভাপতি এবং রাজ্য বিধানসভায় পরিষদীয় দলনেতা। অথচ সেই তিনি সব কিছু বিসর্জন দিয়ে তিনি ছুটলেন বিজেপিতে যোগ দিতে। কিন্তু পেলেন কী? প্রশ্ন বরানগরবাসীর।

তাপস তাঁর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফে দেওয়ায় এবার বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হচ্ছে। তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই বরানগরবাসীর। তৃণমূল এবার এখানে প্রার্থী করেছে রুপোলি পর্দার নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপি প্রার্থী করেছে দলের কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর সজল ঘোষকে। এসব নিয়েও বরানগরের কারও কোনও উচ্ছ্বাস নেই। পাড়ার চায়ের দোকান থেকে ক্লাব— সর্বত্রই একটাই প্রশ্ন, তাপস পাবেন কী বিজেপিতে গিয়ে? বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নিজেই। সাংসদ পদের জন্য ভোটে লড়ছেন ঠিকই। জিতবেন না। কেননা উত্তর কলকাতা বাম জমানা থেকেই তৃণমূলের দুর্গ। উনিশের ভোটেও বিজেপি সেখানে থাবা গাড়তে পারেনি। এখন উনি যাওয়ায় বিজেপি বাড়তি কিছু ভোট হয়তো পাবে বউবাজার এলাকা থেকে, কিন্তু তাতে জয় আসবে না। শেষ হাসি সেই তৃণমূল আর সুদীপই হাসবে। তাপসের হাতে কাঁচকলা ভিন্ন আর কিছুই থাকবে না।

Tags :
Baranagar AssemblyBJPSudip banerjeeTapas Roy.Tmc
Next Article