একুশে পদক পাচ্ছেন ‘আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে' স্রষ্টা রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: তাঁর লেখা ‘আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে, আছো তুমি হৃদয় জুড়ে’ গান উত্তাল করে তুলেছিল তরুণ প্রজন্মকে। বাংলা সাহিত্যে সত্তর দশকের অন্যতম প্রতিভাবান ও শক্তিশালী কবি হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। যদিও বিপ্লবী কবির কলম থেমে গিয়েছিল মাত্র ৩৫ বছর বয়সে। স্ত্রী তথা সঙ্গিনী তসলিমা নাসরিনের সঙ্গে বিচ্ছেদ সইতে পারেননি তিনি। মাদকে ডুবে গিয়ে নিজেকে তিল তিল করে নিঃশেষ করে দিয়েছিলেন। মৃত্যুর পায় ৩৩ বছর বাদে সরকারি স্বীকৃতি পেলেন সেই বিপ্লবী কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ। চলতি বছরে তাঁকে মরণোত্তর ‘একুশে পদক’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রক। আর ওই খবর জানাজানি হতেই নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে দেশের অন্যতম রোম্যান্টিক কবিকে নিয়ে।
মঙ্গলবার সংস্কৃতি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ভাষা, সাহিত্য-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ২০২৪ সালের একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কারপ্রাপকদের হাতে একুশে পদক তুলে দেবেন। চলতি বছর একুশে পদক পাচ্ছেন কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর ও শুভ্রদেব, চিত্রনায়ক আলমগীর, অভিনেত্রী ডলি জহুর, ছড়াকার লুৎফুর রহমান রিটনরা। এছাড়াও একুশে পদক পাচ্ছেন
নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ, আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তফা ও রূপা চক্রবর্তী, চিত্রশিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় জিয়াউল হক ও আলহাজ রফিক আহামদ, ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ, মিনার মনসুর। শিক্ষায় একুশে পদক পাচ্ছেন অধ্যাপক জিনবোধি ভিক্ষু।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতা পুরস্কারের পর রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘একুশে পদক’। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সালে এই পুরস্কার চালু হয়। পুরস্কার প্রাপকদের প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন চার লাখ টাকা ও একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়।