সল্টলেক সহ শহর জুড়ে হকারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু পুলিশ ও পুরসভার
নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা ও সল্টলেক: বিধান নগর পুরো নিগম এবং বিধান নগর দক্ষিণ থানার তরফ থেকে ভেঙে ফেলা হল ফুটপাতের উপর বেআইনিভাবে নির্মিত দোকানগুলি ।ফুটপাতের উপর বেআইনিভাবে দোকান হওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(CM Mamata Banerjee) বক্তব্যের পরেই নড়েচড়ে বসলো বিধাননগর পুলিশ। বিধাননগর দক্ষিণ থানার ১৬ নম্বর ট্যাংক লাগোয়া কেবি ব্লকে ফুটপাতের উপর বেআইনি দোকানগুলোকে ভেঙে ফেলা হয় বিধাননগর পুর নিগম এবং দক্ষিণ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে।
সোমবার নবান্নতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিধান নগরে ফুটপাতের উপর বেআইনিভাবে দোকান রয়েছে। আর এরপরই মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশি তৎপরতা চোখে পরল বিধান নগরে। বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশ এবং বিধাননগর পুর নিগম এবং দক্ষিণ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বিধাননগর পুর নিগমের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে কেবি ব্লকে ফুটপাতের(Footpath) উপরে থাকা দোকানগুলোকে ভেঙে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পর তৎপর বিধাননগর পুলিশ এবং বিধাননগর পুর নিগম। শুধু বিধান নগর নয়, কলকাতার হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, গোল পার্ক ও এসকেএম হাসপাতালের সামনে হকারদের ফুটপাতে লাগানো প্লাস্টিক খুলতে নির্দেশ দেয় পুলিশ(Police)।
উত্তর কলকাতার (North Kolkata) হাতিবাগানে শ্যামপুকুর থানার পক্ষ থেকে প্রত্যেক ফুট পাতের দোকানকে ব্ল্যাক টপ থেকে ফুটপাতের দিকে পিছিয়ে নিতে বলা হয় দোকান। গড়িয়াহাটে পুলিশ অভিযানে নেমে সমস্ত কালো প্লাস্টিক খুলে ফুটপাত মুক্ত করে। এদিকে, সল্টলেক ১৬ নম্বর ট্যাংক এর কাছে কেবি ব্লকের ফুটপাতে যে দোকানগুলো ছিল সেগুলোকে সরিয়ে দেয় বিধাননগর কর্পোরেশন ও পুলিশের কর্মীরা।এটা বিধাননগর পৌরনিগম ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার অধীনস্থ। বেশ কিছু জায়গায় হকারদের গ্রেফতার করে পুলিশ।পুলিশের পক্ষ থেকে ফুটপাত দখল করে থাকা হকার দের মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় বেআইনি অংশ হটিয়ে নেওয়ার জন্য।
