For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

গোসাবায় তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৮

মঙ্গলবার সকালে মুসাকলির বাড়িতে যান স্থানীয় কোস্টাল থানার ওসি সহ পুলিশকর্তারা। সেখানেই তাঁরা ক্ষোভ ও প্রশ্নের মুখে পড়েন।
11:13 AM Nov 28, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
গোসাবায় তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৮
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের(Pathasree Rastasree Project) রাস্তার কাজ হচ্ছিল গ্রামে। কিন্তু তৃণমূলের বুথ সভাপতি(TMC Booth President) মুসাকলি মোল্লার(৩৫) সন্দেহ হয়, ঠিকাদার ভালো মানের বালি ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করছে না। আগে কয়েকবার ভালো বালি দিয়ে কাজ করার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি রাস্তা তৈরির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার বাকিবুর মোল্লা ও তার দলবল। সোমবার সেই বাকিবুর আর তার দলবলের বিরুদ্ধেই উঠেছে মুসাকলিকে পিটিয়ে খুনের(Murder) অভিযোগ। সেই খুনের ঘটনাতেই পুলিশ গ্রেফতার(Arrest) করেছে ৮জনকে। অভিযুক্ত ঠিকাদার এখন হাসপাতালে ভর্তি থাকায় পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার না করলেও তাকে পুলিশি ঘেরাটোপেই রেখেছে। মঙ্গলবার সকালে নিহতের বাড়িতে যান স্থানীয় কোস্টাল থানার ওসি সহ পুলিশকর্তারা। মূল অভিযুক্তকে কেন এখনও গ্রেফতার করা গেল না, তা নিয়ে পুলিশের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন মৃত তৃণমূল নেতার পরিবার ও অনুগামীরা। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) জেলার ক্যানিং মহকুমার সুন্দরবন কোস্টাল থানার(Sundarban Costal PS) রাধানগর-তারানগর পঞ্চায়েতের পূর্ব রাধানগর গ্রাম।

Advertisement

জানা গিয়েছে, পূর্ব রাধানগর গ্রামের ৮৫ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন মুসাকলি। রাস্তা নির্মাণের কাজ যে ঠিকমতন হচ্ছে না সেটা বুঝেই তিনি কাজের সময়ে নজরদারি করার জন্য হানিফ মোল্লা নামে এক যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তাতে আরও খেপে ওঠে বাকিবুর ও তার বাহিনী। সোমবার সকালে বাকিবুর কাজের জায়গায় সঙ্গে নিয়ে এসেছিল অন্তত ২০-২৫ জন দুষ্কৃতীকে। এরাই শাবল, লোহার রড, কোদাল নিয়ে চড়াও হয় মুসাকলি ও তার ৬ সঙ্গীর ওপর। সকালের দিকে বাকিবুর হানিফকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মারধর করে ও তাঁর মোবাইল কেড়ে নেয়। সেই ঘটনার খবর কানে গিয়েছিল মুসাকলির। তার জেরেই তিনি ৬জনকে সঙ্গে নিয়ে কাজের জায়গায় এসেছিলেন। সেই সময়েই তাঁদের ঘিরে ধরে মারধর করে বাকিনুরের সঙ্গে থাকা দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পরে স্থানীয়রাই আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ছোট মোল্লাখালি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক বুঝে তাঁদের সেখান থেকে পাঠানো হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেও পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়নি। তাই বুথ সভাপতিকে এসএসকেএমে রেফার করা হয়। তবে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই মৃত্যু হয় মুসাকলির। তাঁর বাকি ছয় সঙ্গী গুরুতর জখম অবস্থায় বিভিন্ন নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন।  

Advertisement

সেই ঘটনার জেরে রাতেই সুন্দরবন উপকূল থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। রাতেই পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। সকালের মধ্যে আরও ৩জন গ্রেফতার হয়। তবে মূল অভিযুক্ত বাকিবুর সুযোগ বুঝে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকাদার পুলিশি ঘেরাটোপেই আছে। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে মুসাকলির বাড়িতে যান পুলিশের কর্তারা। সেখানে তাঁদের সামনেই সংবাদমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন মুসাকলির পরিবার ও তাঁর অনুগামীরা। নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রীর দাবি, ‘বাকিবুলের ফাঁসি চাই। রউফ, সাজ্জুল ওরা সবাই মিলে আমার স্বামীকে মেরেছে। আসাদ আলির ছেলে বাকিবুল। ওই মেইন।’ মুসাকলির অনুগামীদের দাবি, বাকিবুল আগে বিজেপি করতেন। কিন্তু এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল জেতার পর তিনিও দল পরিবর্তন করেন। যদিও প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে একজন সাধারণ ঠিকাদার এমন নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটাতে পারলেন? এই ঘটনা প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অনিমেষ মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও মুসাকলিকে মারার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পুলিশ জানে, কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে। তাদের গ্রেফতার না করা গেলে গোসাবায় হিংসা আরও বাড়বে।’  

Advertisement
Tags :
Advertisement