For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

তৃণমূলের অভিযোগকেই মান্যতা কমিশনের, নিয়ন্ত্রীত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্ষমতা

একুশের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগের যে সারবত্ত্বা ছিল তা প্রমাণিত হয়ে গেল চব্বিশের ভোটে কমিশনের নির্দেশিকায়।
09:42 AM Apr 15, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
তৃণমূলের অভিযোগকেই মান্যতা কমিশনের  নিয়ন্ত্রীত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্ষমতা
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা নিরীহ ভোটারদের লক্ষ্য করে বিনা কারনেই গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই ঘটনায় মারা যায় ৪জন। সেই ঘটনা বাংলার জনমানসে প্রভাব তো ফেলেইছিল, দেশের রাজনীতিতেও তার ছাপ পড়েছিল। ২৪’র নির্বাচনে(Loksabha Election 2024) সেই ধরনের ঘটনা যাতে আর নতুন করে না হয়, অন্তত বাংলার বুকে, এবার তার জন্য পদক্ষেপ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন(ECI)। ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Force) তরফে গুলি চালনার ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে কমিশন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শীতলকুচির ঘটনা থেকেই শিক্ষা নিয়ে কমিশনের এহেন পদক্ষেপ যা বাংলাজুড়েই লাগু হচ্ছে।     

Advertisement

রাজ্যের মুখ্য নিবার্চনী আধিকারিক বাংলার প্রতি জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আচরণবিধি সংক্রান্ত একগুচ্ছ নির্দেশিকা। তাতেই বিষয়টি পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বাংলার জন্য যে বিশেষ সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে, এই আচরণবিধি যে তাঁদের নির্দেশমতোই তৈরি, তারও উল্লেখ করেছেন রাজ্যের মুখ্য নিবার্চনী আধিকারিক। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতলকুচির ঘটনার জেরে এবার বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কী কী করতে পারবে এবং কী কী পারবে না, তার জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি পৃথক তালিকা। তাতে প্রথমেই গুলি চালনার বিষয়টি তুলে ধরে হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নির্বিচারে গুলি চালানো যাবে না। একমাত্র নিজেদের সুরক্ষা এবং ভোটকর্মী ও ইভিএমের নিরাপত্তায় ‘শেষ অস্ত্র’ হিসেবেই গুলি চালানো যাবে।

Advertisement

একইসঙ্গে ভোটের ডিউটিতে বাংলায় আসা কেন্দ্রীয় জওয়ানদের জন্য যে নির্দেশিকাগুলি রাজ্যের মুখ্য নিবার্চনী আধিকারিক পাঠিয়েছেন, তা ইংরেজি ও হিন্দিতে ছাপাতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকা সংবলিত লিফলেট ছাপিয়ে তা জওয়ানদের মধ্যে বিলি করতেও বলা হয়েছে। আর সেই কাজ করতে বলা হয়েছে জেলা পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের তত্ত্বাবধানে। গুলি চালনায় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জওয়ানদের। যেমন—তাঁরা যেন কোনও প্রলোভনে পা না দেন, ভোটকর্মী বা অন্য কারও কাছ থেকে চা, সিগারেট প্রভৃতি কোনও কিছুই গ্রহণ না করেন, কারও প্রতি অনাবশ্যক ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ আচরণ করা যাবে না, খারাপ ভাষার ব্যবহার কিংবা অপ্রয়োজনে জুলুমও করা চলবে না কারও ওপর। একই সঙ্গে বিশেষ কোনও জনগোষ্ঠী, জাতি প্রভৃতির সঙ্গে অন্তরঙ্গতা প্রদর্শনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

একজন ভোটারকে কারও পক্ষে ভোট দিতে বলাও জওয়ানদের জন্য দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য করা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়ায়, নিরাপত্তা প্রদান ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে অংশ নেবেন না কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশ ছাড়া তাঁরা বুথের মধ্যেও প্রবেশ করতে পারবেন না। কার্যত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় শীতলকুচির ঘটনা ছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে যা যা অভিযোগ উঠেছিল, অন্তত শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) তুলেছিল, কার্যত প্রায় তার সব কিছুই মেনে নিল কমিশন। যা কার্যত প্রমাণ করে দিচ্ছে, একুশের ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা এবং বাহিনীর জওয়ানদের আচরণ ও কাজকর্ম নিয়ে তোলা তৃণমূলের অভিযোগগুলি মিথ্যা ছিল না। অভিযোগের সারবত্ত্বা ছিল বলেই এবারে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে।

Advertisement
Tags :
Advertisement