BJP-কে ধাক্কা দিয়ে মমতার জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলা খারিজ
নিজস্ব প্রতিনিধি: বড় স্বস্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee)। বড় ধাক্কা BJP’র। জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলায়(National Anthem Defamation Case) ক্লিনচিট পেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এক BJP নেতার দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিল মুম্বইয়ের মেট্রোপলিটন আদালত। মাঝগাওঁয়ের মেট্রোপলিটান আদালত(Mazgaon Metropolitan Court) জানিয়ে দিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অপরাধ করেননি। মুম্বইয়ের মেট্রোপলিটান আদালত মমতাকে নির্দোষ ঘোষণা করে BJP নেতার মামলা খারিজ করে দেয়। তবে গেরুয়া শিবিরের সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা বোম্বে হাইকোর্টে(Bombay High Court) ফের এই বিষয় নিয়েই মামলা দায়ের করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছে। কেননা নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করে দিলেও, নিম্ন আদালতে খারিজ করে দেওয়া মামলা নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার রাস্তা রয়েছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে মুম্বই গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে নাগরিক মঞ্চের একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। স্থানীয় এক BJP কর্মী বিবেকানন্দ গুপ্তার অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অনুষ্ঠানে দেশের জাতীয় সংগীতের অবমাননা করেছেন। BJP-র সক্রিয় ওই কর্মী সেই অভিযোগ তুলে মাঝগাঁওতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারস্থ হন। গোটা বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। মমতার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করারও আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ ছিল, উক্ত অনুষ্ঠানের শেষের দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকাই বসে বসে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেছিলেন। পরে তিনি জাতীয় সঙ্গীতের মাঝপথে দাঁড়িয়ে ওঠেন। জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনই নাকি মমতা আচমকাই অনুষ্ঠান্থল ছেড়ে চলেও যান।চলতি বছরের শুরুতে এই ঘটনায় দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে এই মামলা খারিজের আবেদন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মার্চ মাসে সেই মামলার প্রেক্ষিতে দায়রা আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার সময় না দাঁড়ানো অবামাননা ঠিকই, তবে তা অপরাধ নয়। আদালত তার রায়ে বলে, ‘নিঃসন্দেহে মমতার বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারী অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর যে অনুষ্ঠান হয়েছিল, সেই বিষয়ে আগের থেকে কিছু জানতেন না আবেদনকারী। বিভিন্ন রিপোর্ট দেখেই এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন মামলাকারী। আবেদনকারী নিজেই জানাচ্ছেন যে সেই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক বিশিষ্ট মানুষজন এসেছিলেন। এই আবহে CRPC-র ২০২ নং ধারার অধীনে এই মামলার তদন্ত করতে হবে মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটকে।’
নিম্ন আদালতের এই নির্দেশকে মমতা বম্বে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে নিম্ন আদালতের রায়কেই বহাল রেখেছিল উচ্চ আদালত। সে সময় বম্বে হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি অমিত বোরকার বলেছিলেন, ‘বিশেষ আদালত এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং তা নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ।’ এখন নিম্ন আদালতই গেরুয়া শিবিরকে ধাক্কা দিয়ে মামলা খারিজ করে দিল।