পশ্চিমে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের হুমকি পুতিনের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আঘাত হানার মতো দূরত্বে প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার(৫ই জুন) পুতিন জানিয়েছেন যে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও সেই দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা কিয়েভকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালাতে অনুমতি দেয়, তাহলে তিনিও চুপ থাকবেন না। পাল্টা জবাব দিতে তিনিও পশ্চিমে আঘাত করার মতো দূরত্বে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবেন।
ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিমা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গুলির সঙ্গে খোলাখুলি বৈঠকে বসেন নি পুতিন। তবে এবার প্রথমবারের মত পশ্চিমা বার্তা সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না পশ্চিমের এমন অনুমান কিন্তু সঠিক নয়। এই অনুমান করলে ভুল ভাবছেন তাঁরা। রাশিয়ার পারমাণবিক নীতিকে এত হালকাভাবে দেখা ঠিক নয়। এটাকে আরও গভীরভাবে দেখা উচিত।
রাশিয়ার উপর আঘাত করার জন্য ইউক্রেইনকে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ যে আহ্বান জানিয়েছেন তা নিয়েও সতর্ক করেছেন পুতিন। তিনি জানিয়েছেন, কিইভকে আরও শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার আঘাত হানার অনুমতি দেওয়া হলে, তিনি চুপ থাকবেন না। এটি গুরুতর বাড়াবাড়ির দিকে চলে যাবে। এমনকী পশ্চিমা দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের ইঙ্গিতও দিতে পারে।
তিনি আরও জানান যে, যদি এসব পশ্চিমা দেশ রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায়, তাহলে আমাদেরও একই ধরনের ব্যবহার করার অধিকার রয়েছে। শুধু তাই নয় এই বিষয় নিয়ে তিনি আরও জানান য়ে, এমনটা হলে পরিস্থিতি খুবই জটিল হবে।তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোথায় কোথায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার চিন্তাভাবনা করা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করবে না রাশিয়া।
যদিও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কোথায় তিনি এসব ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবেন পুতিন তা এখনও নির্দিষ্ট করে জানাননি। এটি এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
জানা গেছে বার্ষিক সেইন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামকে সামনে রেখে সদ্য নির্মিত ৮১-তলা গ্যাজপ্রম টাওয়ারে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিন ঘণ্টা কথা বলেছেন পুতিন।