আলিপুর আবহাওয়া দফতরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি ধরে রাখতে নেওয়া হল বিশেষ উদ্যোগ
সুব্রত রায় : রবীন্দ্রনাথ এবং আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই দুটির মধ্যে রয়েছে অনেক অজানা গল্প। রয়েছে কবিগুরুর স্পর্শ, তার নানা স্মৃতি।কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(Rabindranath Tagore) ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরে ঢুকলেই প্রথমে চোখে পড়বে একটি লালবাড়ি। লাল এই বাড়িতেই থাকতেন ব্রিটিশ আমলে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের প্রধান আবহাওয়াবিদ প্রশান্ত চন্দ্র মহালনবিশ । প্রশান্ত চন্দ্র মহালনবিশের স্ত্রীর আত্মীয় ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আলিপুরে আসা-যাওয়া লেগে থাকত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের প্রাদেশিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত(Somnath Dutta) যেমনটা জানান আবহাওয়া দফতরের(Weather Office) একটি বটগাছের তলায় বসে কবিগুরু একাধিক কবিতা এবং গল্প লিখেছিলেন ।
যার মধ্যে অন্যতম হলো রক্তকরবী নাটকে একটি বিশেষ অংশ। বর্তমানে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে বট বৃক্ষটির সামনে একটি মঞ্চ গড়া হয়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে মুক্তধারা মুক্তমঞ্চ। শুধু তাই নয় ,আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বট গাছের অংশটি বাঁধানো হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর এবং রবীন্দ্রনাথের নিবিড় সম্পর্কের ব্যাপারে অবগত করতেই বটবৃক্ষ সহ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কিছুটা অংশ রূপায়ন করা হয়েছে। যাতে আগামী প্রজন্ম কবি গুরুকে নিয়ে তার সেখানে উপস্থিতি ও অজানা কথা জানতে পারে। শুধু তাই নয় আবহাওয়া দপ্তরের মধ্যে যে লাল রঙের বাড়িটি আছে সেখানে যে আরাম কেদারাটি আছে সেটিও সংরক্ষণের বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
কারণ এই বাড়িটিতে যখন কবিগুরু আসতেন তিনি ওই আরাম কেদারাটিতে বসে বিশ্রাম নিতেন এবং পাখির কলরব শুনতে শুনতে শব্দের জাদু তার কলমের মধ্যে দিয়ে ঝরে পড়তো সাদা পাতায়। কবিগুরুর এই অজানা গল্পকে ধরে রাখতে তাই বিশেষ গ্রহণ করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর কর্তৃপক্ষ। উদ্দেশ্য বিশ্বকবির স্পর্শ ও পদ ধুলিতে ধন্য এই বট বৃক্ষ প্রাঙ্গণকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা।