বিনা পাসেই বিধানসভায় রাহুলের গাড়ি, বের করে দিলেন মার্শাল
নিজস্ব প্রতিনিধি: দিল্লিতে নয়া সংসদ ভবনে হামলার পরে পরেই বাংলার বুকেও রাজ্য বিধানসভায়(West Bengal State Assembly) নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ কড়া করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ব্যবস্থায়(Security Management) যে গলদ রয়েছে তা এদিন দেখিয়ে দিল বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) প্রাক্তন সভাপতি(Former State Chief) রাহুল সিনহার(Rahul Sinha) গাড়ি। বিনা পাসেই(Car Pass) সেটি ঢুকে পড়ে রাজ্য বিধানসভা ভবন চত্বরে। ঘটনা নজরে আসতেই তুলুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিধানসভা ভবন চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামেন মার্শাল(Marshall)। তিনিই দ্রুত সেই গাড়ি বের করে দেন বিধানসভা ভবন চত্বর থেকে। পরবর্তীতে ফের পাস ইস্যু করে বিজেপি নেতাকে গাড়ি নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। ঘটনায় জেরে প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে বিধানসভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রাজ্যসভার ৫টি আসনের জন্য ইতিমধ্যেই বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল বিজেপি তাঁদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। সেই সূত্রেই এদিন বিজেপির প্রার্থী হিসাবে শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য বিধানসভায় আসেন তাঁর মনোনয়ন দাখিল করতে। সেই কারণেই এদিন বিধানসভায় আসেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতানেত্রীরা। সেই দলেই ছিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা। জানা যায়, যে গেট দিয়ে বিধায়করা প্রবেশ করেন সেখানেই চলে যায় রাহুলের গাড়ি। তাঁকে দেখে পাস ছাড়াই গাড়ি ঢুকতে দেন নিরাপত্তারক্ষী। এর পর নজরে আসে যে তাঁর কাছে গাড়ির জন্য পাস নেই। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খোদ মার্শাল এসে কথা বলেন নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে। গেটে আসেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা ও শংকর ঘোষেরা। প্রথমে বের করে দেওয়া হয় রাহুল সিনহার গাড়ি। পরবর্তীতে গাড়ির জন্য আলাদা পাস ইস্যু করে গাড়ি ঢোকানো হয়।
দিল্লিতে নয়া সংসদ ভবনে হামলার ঘটনার জেরে গত ডিসেম্বর মাসে রাজ্য বিধানসভা ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, বিধানসভায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করার ভাবনা চলছে। শূন্যপদে ও বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হবে বলেও সেই সময়ে জানিয়েছিলেন তিনি। সমস্ত গেটে ওয়েব ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় সেই সময়ে। সেই সূত্রেই রাজ্য বিধানসভা ভবনের পশ্চিম গেট কেবলমাত্র ভিজিটার্সদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পরিচয়পত্র ছাড়া স্টাফ, সাংবাদিক, বিধায়ক কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও জানানো হয়। ভিজিটার্স স্লিপের সময় কমিয়ে ২ ঘণ্টা করা হয়। এত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও এদিন প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল রাজ্য বিধানসভা ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।