‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট জমা কোবিন্দ কমিটির
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের মুখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দিল রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি। বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছে ওই রিপোর্ট তুলে দিয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন কমিটির সদস্যরা। যদিও ওই রিপোর্টে কী সুপারিশ করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
২০১৪ সালে প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই নরেন্দ্র মোদি ‘এক দেশ এক ভোট’ তত্ত্ব সামনে এনেছিলেন। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট সেরে ফেলার পিছনে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি হল, এতে নির্বাচনের খরচ কমবে। একটি ভোটার তালিকাতেই দু’টি নির্বাচন হওয়ায় সরকারি কর্মীদের তালিকা তৈরির কাজের চাপ কমবে। ভোটের আদর্শ আচরণ বিধির জন্য বার বার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থমকে থাকবে না। মোদির ওই সিদ্ধান্তকে খুল্লামখুল্লা সমর্থন জানিয়েছিল নীতি আয়োগ, আইন কমিশন, নির্বাচন কমিশনে বসা ‘আজ্ঞাবহ ভৃত্য’রা। গত জুলাই মাসে লোকসভার বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকরের দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।আইন কমিশন সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে, ২০২৯ সাল থেকে দেশে একই সঙ্গে লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সুপারিশ করেছে।
যদিও মোদির ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতির বিরোধিতায় সরব দেশের প্রধান বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ একাধিক দলের পক্ষ থেকে ‘এক দেশ এক ভোট’ পদ্ধতির সমালোচনায় করা হয়েছে। বিরোধী দলগুলির নেতৃত্বের অভিযোগ, ‘এই নীতি নিয়ে ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে বিজেপি সরকার। কার্যত দেশে যাতে বিরোধী দল বলে আর কিছু অবশিষ্ট না থাকে তা নিশ্চিত করে একনায়কতন্ত্র চালুর চেষ্টা করছেন ক্ষমতালোভী হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী মোদি। সম্প্রতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করেছে মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।