রানাঘাটের পর রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতি,বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতিদের গুলির লড়াই
নিজস্ব প্রতিনিধি,রানিগঞ্জ: রবিবার দুপুরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জে প্রকাশ্য দিবালোকে সোনার দোকানে ডাকাতি। পুলিশের এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের বাধা পেয়ে ডাকাতদের নির্বিচারে গুলিবর্ষণ। এলাকা জুড়ে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল। ডাকাত দল প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খন্ডে গা ঢাকা দিল।প্রায় দশ কিলোমিটারের ব্যবধানে পরপর দুটো শ্যুটআউটের ঘটনা শিল্পনগরী রানিগঞ্জ এবং আসানসোলে । ছুটির দিন ভরদুপুরে প্রকাশ্যে এই গুলিচালনার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে দুই এলাকাতেই । দুই ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।রানিগঞ্জে(Raniganj) দিবালোকে ডাকাতি, গুলিবর্ষণ। ডাকাতরা রবিবার প্রকাশ্য দিবালোকে রানিগঞ্জের সেনকো গোল্ড শোরুমে হানা দেয় এবং লুটপাট চালায়, সেই সময় গুলিও চালানো হয়। ঘটনাস্থলে ডাকাতির খবর পেয়ে পৌঁছে যায় পুলিশ টিম।দোকানের সদস্যরা জানান, ডাকাতরা গার্ডের বন্দুকও ছিনিয়ে নেয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশও গুলি চালায়।দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে দুজন আহত হয়েছেন। জানা গেছে, ডাকাতরা পালানোর সময় একটি গাড়ি ছিনতাই করে। বাধা পেয়ে তারা গাড়ির মালিক কে গুলি ছুড়ে আহত করে।অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে ঝাড়খন্ড বর্ডার এলাকায় নাকা তল্লাশি শুরু করা হয় পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের সন্ধানে। ওই ডাকাত দলে মোট সাতজন ছিল।
ডাকাতি করে সোনা(Gold) লুট করে পালানোর সময় বাধা পেয়ে ডাকাত রাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে গুলি লাগে। একাধিক গুলির খোল উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষজন। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রানিগঞ্জের একটি নামি সোনার দোকান(Gold Shop) সংলগ্ন এলাকায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, এর আগেও নদীয়া জেলার রানাঘাটে সোনার দোকানে ডাকাত দল ডাকাতি করতে ঢুকে বাধা পেয়ে পুলিশের মুখোমুখি হয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরপর শোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় একাধিক অপরাধী গ্রেপ্তার হলেও ফের জামাইষষ্ঠীর তিন দিন আগে রবিবার ছুটির দিনে প্রকাশ্য দিবালোকে রানিগঞ্জে শের ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সোনা ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ভিন রাজ্য থেকে ডাকাত দল নির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে রানিগঞ্জের ওই সোনার দোকানে হানা দিয়েছিল। পুলিশ ওই সোনার শোরুমের সিসিটিভি(CCTV) ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে। ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল পুলিশ আটক করেছে। রানাঘাটের পর রানীগঞ্জে ডাকাত দলের মুখোমুখি হয় পুলিশ। হিন্দি ফিল্মের কায়দায় প্রকাশ্য দিবালোকে খোলা রাস্তায় চলে দুপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই।ফের নামি সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই দুষ্কৃতীদের । গুলিবিদ্ধ দু'জন এলাকাবাসী । একজনের পায়ে গুলি করে তাঁর গাড়ি নিয়ে চম্পট দিল ডাকাত দল । প্রকাশ্য দিবালোকে রানিগঞ্জে এমন দুঃসাহসিক ডাকাতি ও পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে । রানিগঞ্জের একটি নামি গোল্ড শোরুমে হানা দিয়ে লুটপাট চালায় সাত থেকে আট জনের ডাকাত দল । ডাকাতরা প্রথমে দোকানের গার্ডের বন্দুক ছিনিয়ে নেয় । কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ পৌঁছে যায় এলাকায় । ডাকাত দল শোরুম থেকে বার হতেই পুলিশ গুলি চালায় । পাল্টা একের পর এক গুলি চালায় ডাকাত দলের সদস্যরাও । ডাকাতদের একজনের গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে । জনৈক প্রত্যক্ষদর্শী যুবকের কথায়, বাইক নিয়ে এসেছিল দুষ্কৃতীরা । পালায় চারচাকার গাড়ি ছিনতাই করে ।
আসানসোল দক্ষিণ থানার মহিশিলা চক্রবর্তীপাড়া মোড়ে লুঠ করে পালাবার পথে একটি চারচাকার গাড়ির আরোহীকে পায়ে গুলি করে তাঁর গাড়ি নিয়ে পালায় দুষ্কৃতী দলের চারজন । গাড়িতে থাকা তার স্ত্রী এবং শিশুকন্যা এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন । গুলি চালাতে চালাতে পালাতে সক্ষম হয় দুষ্কৃতীরা । ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু তাজা কার্তুজ এবং গুলির খোল উদ্ধার হয় ।পুলিশের ঝাড়খন্ড সীমান্ত এলাকায় নাকা তল্লাশি শুরু করেছে । ডাকাত দলের সদস্যরা বছর বাইশ থেকেণপঁচিশের । হিন্দিভাষি বলে জানা গিয়েছে