শনি সকাল থেকেই জলপাইগুড়িতে চালু Regional Flood Control Room
নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকে পড়েছে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) বুকে। আর প্রতিবছরেই এই বর্ষা শুরুর সময়ে উত্তরবঙ্গের বুকে বড় ইনিংস খেলে দেয় বর্ষা(Monsoon)। আর তার জেরে বাংলার পাহাড়, সিকিম আর ভূটান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী নদীগুলি ফুলে ফেঁপে উঠে ভাসিয়ে দেয় উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। এবারে বর্ষা আগেভাগে এসে যাওয়ায় এদিন অর্থাৎ শনিবার থেকেই উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে চালু করে দেওয়া হল Regional Flood Control Room। এই কন্ট্রোল রুম থেকেই জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও দার্জিলিংয়ের মতো উত্তরের কয়েকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতির আগাম খবর মিলবে। একই সঙ্গে সেই তথ্য যাবে রাজ্যের সেচ দফতরের Central Flood Control Room সহ জেলা প্রশাসনগুলির কাছে। একই সঙ্গে রাজ্যের আরও কয়েকটি দফতরেও এই তথ্য যাবে।
উত্তরবঙ্গের বুকে বর্ষার মরশুম শুরু হলেই বিভিন্ন নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে তৈরি হয় প্লাবন পরিস্থিতি। ফুলেফেঁপে ওঠে নদীগুলি। উত্তরবঙ্গের মূল নদীগুলির জলস্তর কতটা বৃদ্ধি হল, নদীর জল উপচে গিয়ে প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কি না তার সতর্কবার্তা মিলবে Regional Flood Control Room থেকে। এছাড়াও গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে কত পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে তারও তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। চালু হচ্ছে কন্ট্রোল রুমের টোল ফ্রি নম্বর, 18003453255। এবার এই কন্ট্রোল রুমের উল্লেখযোগ্য সংযোজন হল, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় বেশ কয়েকটি Automatic Rain Gauge System চালু হয়ে যাওয়া যেগুলির মাধ্যমে পাওয়া বৃষ্টি ও নদীর জলস্তর পরিমাপের তথ্য পরীক্ষামূলকভাবে বিশ্লেষণ হবে। তারজন্য রাজ্যের সেচ দফতরেই অত্যাধুনিক Supervisory Control and Data Acquisition বা SCDA চালু করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সে সবের জন্য মেশিনপত্র বসেছে। বসেছে জায়েন্ট স্ক্রিনও, যার মাধ্যমে বিভিন্ন নদীর নাম ও জায়গা ধরে ধরে স্পষ্ট চিত্র দেখাও যাবে।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের সেচ দফতরের উত্তর-পূর্ব বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক জানিয়েছেন, পাহাড়ের জলে পুষ্ট নদীর জলস্তর বৃদ্ধির আগাম সতর্কবার্তা পেতে সিকিম ও ভুটানের বৃষ্টিপাতের Real Time Data সংগ্রহ করা হয় যাতে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া যায়। নিচু এলাকার মানুষকে সরানো যায়। তারজন্যই চালু হচ্ছে এই কন্ট্রোল রুম। খোলা থাকবে আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত, যতক্ষণ বর্ষার মরশুম শেষ না হচ্ছে। তথ্য আদান-প্রদান হবে সিকিম আবহাওয়া দফতরের ৩০টি, Central Water Commission’র ২৮টি এবং রাজ্যের সেচ দফতরের নিজস্ব ১২টি Manual Rain Gauge System’র মধ্যে।