For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

হাতির হানায় মৃতদের স্বজনেরা চাকরি পেয়ে মুগ্ধ মমতায়

হাতির হানায় মৃতের পরিবারের ১জনের চাকরি পাওয়ার ঘটনাই এবার তৃণমূলকে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ এনে দিচ্ছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে।
05:53 PM Apr 18, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
হাতির হানায় মৃতদের স্বজনেরা চাকরি পেয়ে মুগ্ধ মমতায়
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: বছরের পর বছজর ধরে হাতির হানায় মারা(Death due to Elephant Attack) যাওয়া কার্যত দস্তুর হয়ে গিয়েছে, জঙ্গলমহলের(Jungalmahal) বাসিন্দাদের একাংশের। প্রতি বছরই ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক মানুষ মারা যান হাতির হানায়। একই ঘটনা মাঝে মধ্যেই চোখে পড়ে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া মায় বীরভূম জেলার বুকেও। দুই বর্ধমান জেলাতেও মাঝেমধ্যেই দলছুট হাতি ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটে। যদিও সেখানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এখনও পর্যন্ত। কিন্তু জঙ্গলমহলের বুকে হাতির হানায় মৃত্যু এখন নিত্য বছরের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাম জমানায় এই সব ঘটনায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পর্যন্ত পেতেন না স্বজনহারা মানুষেরা। কিন্তু পরিবর্তনের পরে সেই ছবিতে বদল এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার দীর্ঘদিন ধরেই হাতির হানায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নীতি চালু করেছে। এবার সেই নীতির সঙ্গে যোগ হয়েছে চাকরি প্রদানের নীতি(Government Service for Dead Persons Family Member)। হাতির হানায় মৃতের পরিবারের একজনের সরকারি চাকরি। সেই চাকরি পাওয়ার ঘটনাই এবার তৃণমূলকে বাড়তি অ্যাডভান্টেজ এনে দিচ্ছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে(Loksabha Election 2024)।

Advertisement

হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে জঙ্গলমহলের রাজনীতি অনেক কিছুই দেখেছে। লোকালয়ে হাতির হানায় মৃত্যু, ফসলের ক্ষতি, ঘরবাড়ি ভাঙচুর সহ একাধিক বিষয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর কিংবা ঝাড়গ্রামে ভোট-রাজনীতিতে হাতি ঢুকবে—এটাই এখন দস্তুর হয়ে উঠেছে। এখন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বিরোধী দলগুলি আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে সেই হাতির হানার ঘটনা তুলে ধরে ফায়দা লুঠতে। তাঁদের দাবি, হাতির তাণ্ডবে ফসল, ঘরবাড়ির ক্ষতি হলে নায্য ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না কেউ। আর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দিয়েই দায় সারছে সরকার। হাতির সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু এই সব অভিযোগ তুলে ধরে ফায়দা লোটার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হাতির হানায় মৃতদের পরিবারের ১জনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার নীতি চালু করায়। কেননা বীরভূম থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান থেকে ঝাড়গ্রাম, ইতিমধ্যেই অনেকে চাকরি পেয়েছে এই নীতির মাধ্যমে। আর তাতেই বিরোধীদের দাবি অনেকাংশেই লঘু হয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

Advertisement
Tags :
Advertisement