নির্বাচনের আগে ব্রিটেনে বেকায়দায় প্রধানমন্ত্রী সুনক
নিজস্ব প্রতিনিধি : আগামী ৪ জুলাই ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে কিছুটা হলেও বেকায়দায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। ইতিমধ্যে সুনকের কনজারভেটিভ পার্টির একের পর এক পার্লামেন্টের সদস্য ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ৭৮ জন পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ভোটের রণকৌশল নির্ধারণে নিজের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন ঋষি সুনক।
সম্প্রতি সুনকের মন্ত্রিসভার দুই সদস্য মাইকেল গোভ ও আন্দ্রিয়া লিডসম লোকসভা ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে চিঠি লিখে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন এই দুই মন্ত্রিসভার সদস্য। আন্দ্রিয়া লিডসম চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ‘সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।‘ একইসঙ্গে ঋষি সুনকের মন্ত্রিসভার আরেক সদস্য মাইকেল গোভ জানান, ‘দেশের জন্য সকলের কাজ করতে চায়। তবে এখন পরবর্তী প্রজন্মকে জায়গা করে দিতে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।‘ কিছুদিন আগেই ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টেরেজা মে-ও নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
একের পর এক পার্লামেন্টের সদস্য যখন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন, তখন নতুন করে রণকৌশল নির্ধারণে নিজের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। নির্বাচনের যখন আর কয়েক সপ্তাহ বাকি, তখন প্রচারে থাকার কথা সুনকের। কিন্তু সুনক নির্বাচনী প্রচারে না গিয়ে তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুনক যে কিছুটা হলেও বেকায়দার পড়েছেন তা অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরই অভিমত। এই পরিস্থিতিতে সুনককে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা স্টেল্লা ক্রেসি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি জানান, সুনকের এখন অবসর নেওয়া প্রয়োজন। ব্রিটেনের মানুষ এখন অন্য সরকারকে চাইছে।