সরকারি কর্মীদের 'গালিগালাজ', বিপাকে পড়তেই মুখ খুললেন রূপঙ্কর পত্নী
নিজস্ব প্রতিনিধি: ইদানিং সহকর্মীদের সঙ্গে কিছু তারকাদের জঘন্য আচরণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। যেমন, জানুয়ারি মাসে হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় পাকিস্তানের কিংবদন্তি গায়ক রাহাত ফতেহ আলি খানের একটি বিস্ফোরক ভিডিও। যেখানে তাঁকে তাঁর একজন ভক্তকে চরম মারধর করতে দেখা যায়। এই নিয়ে রাহাত ফতেহ আলি খানকে রীতিমতো ছেঁকে ধরে সাইবারবাসী। যদিও এরপরেই গায়ক ক্ষমা চেয়ে নেন ওই ভক্তের কাছে। এরপর কিছুদিন আগে আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠানে বাড়ির গৃহকর্মীর সঙ্গে তামিল সুপারস্টার রজনীকান্তের একটি বিস্ফোরক আচরণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এবার এমন ঘটনার সাক্ষী হল বাংলা।
জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়ক কেকের মৃত্যুর পর আলোচনায় এসেছিলেন বাংলার জনপ্রিয় গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। তাঁর একটি মন্তব্যই সকল বিতর্কের কারণ হয়েছিল। এবার বিতর্কের মুখে পড়লেন গায়কের স্ত্রী চৈতালি লাহিড়ি। একটি ভাইরাল ভিডিও পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, গায়কের স্ত্রী পোস্ট অফিসে গিয়ে কিছু কর্মীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন! একটি ভিডিওতে, সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিসের কর্মরতা দাবি করেছেন যে, গায়ক রূপঙ্কর বাগচী সস্ত্রীক তাঁদের পোস্ট অফিসে গিয়েছিলেন আধারের কাজ করাতে। প্রথমে চৈতালি লাহিড়ি আধার নথিভুক্তিকরণের জন্য থাকা কর্মীকে বলেন, তিনি রাজ্য সরকারের মহিলা সুরক্ষা দপ্তর থেকে আসছেন, তাই তাঁর তাঁকে তক্ষুনি করে দিতে হবে। প্রত্যুত্তরে আধার কর্মী বলেন- লাইনে যাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন তাদের পরে করে দেবেন। তখন রূপঙ্করের স্ত্রী বলেন, সবাইকে এক করলে হবে না, ওনারা দামী মানুষ। তখন ওনাকে অফিসাররা বোঝানোর চেষ্টা করলে বাকবিতণ্ডায় রূপঙ্করের স্ত্রী ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাবে গালাগালাচ করতে থাকেন অফিসারকে। এরপরই চৈতালিদেবী রূপঙ্করকে নিয়ে চলে যান। এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক।
যদিও এই পোস্টের বিরুদ্ধে চৈতালি লাহিড়ির সাফাই, আধারকার্ডের সমস্যার জন্য গতবার তিনি ভোট দিতে পারেননি। পোস্ট অফিসে দালালি চলে। আধারকার্ডের কাজ করতে ৫০ টাকা লাগে, সেটার পরিবর্তে গরীব মানুষদের কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়ে নেয় দালালরা। আর সত্যিই কথাটা বলতেই ওনারা রেগে যান এবং তাঁকে পেটাতে যান। পোস্ট অফিসের ভিতর ঢুকে ৪-৫জন তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করলে রূপঙ্কর তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করে- (What the F*** is going on here?), যার বাংলা অর্থ- কী হচ্ছেটা কী এখানে? এরপর তাঁরা বেরিয়ে যান। তবে যিনি এই ভিডিও ছড়িয়েছেন তিনি রূপঙ্করের নাম করে জনপ্রিয় হতে চাইছেন। তাই এমন বিষয়টা পুরো সাজানো হয়েছে।