সলমান খানের বাড়িতে গুলি চালানোর জন্যে দুর্বৃত্তদের ৪ লক্ষ টাকা 'সুপারি'
নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশের জালে বন্দি হল সুপারস্টার সলমান খানের বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় জড়িত আরেক সন্দেহভাজন। তাঁকে বুধবার রাতে হরিয়ানা থেকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের মতে, এই সন্দেহভাজন ব্যক্তিও লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এবং বন্দুকধারীদের মধ্যে একজন ছিল। এর আগে দিন দুয়েক আগে মোদি রাজ্য গুজরাতের ভূজ মন্দির থেকে মূল দুই অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করেছিলেন মহারাষ্ট্র পুলিশ। যাঁদের নাম যথাক্রমে ভিকি গুপ্তা (২৪) এবং সাগর কুমার পলক (২১)। যারা এই মূহুর্তে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। অপ্রত্যাশিতদের জন্যে, গত রবিবার ভোর ৪:৫৫ নাগাদ, দুই মোটরসাইকেল আরোহী সলমনের মুম্বইয়ের বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান।
যেখানে সলমান খান নিয়মিত বসবাস করেন। ঘটনার দিনও অভিনেতা বাড়িতে ছিলেন। কয়েক বছর ধরেই কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নজরে রয়েছেন নায়ক। ১৯৯৮ সালে সলমানের দ্বারা কৃষ্ণসার হত্যার পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল হয়ে যান নায়ক। এই কারণেই গত কয়েক বছর ধরেই অভিনেতা মৃত্যু হুমকির সম্মুখীন। তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে নানা ভাবে হেনস্থা করছে দুর্বৃত্তরা। মহারাষ্ট্র সরকারের দেওয়া কঠোর নিরাপত্তা সত্ত্বেও সলমনকে হত্যার চেষ্টায় কায়েম রয়েছেন তাঁরা। এদিকে রবিবার এই ঘটনার ২ দিন পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নিজেই সলমানের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে আশ্বাস দিয়ে আসেন যে, লরেন্স বিষ্ণোইকে তাঁরা খতম করবেই। মুম্বইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই ঘটনার তদন্ত করছেন। ইতিমধ্যেই সলমানের বাড়িতে সিকিউরিটি বাড়ানো হয়েছে। ১৩ এপ্রিল রাতে ঘটনার কয়েক ঘন্টা আগে সাগর কুমার পলক, দুই সন্দেহভাজনের একজনকে একটি বন্দুক সরবরাহ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে, অস্ত্র সরবরাহকারী ব্যক্তির পরিচয় অজানা। অভিযুক্ত দুজনই বিহারের পশ্চিম চম্পারণের বাসিন্দা এবং সোমবার গভীর রাতে গুজরাতের কচ্ছ জেলার একটি মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে মুম্বাই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছিল।
পুলিশ সূত্রের মতে, পলক এবং তার সঙ্গী ভিকি গুপ্তা দুজনকেই শুট চালানোর জন্য ৪ লক্ষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, এবং ১ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। তবে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের মতে, তাঁদের উদ্দেশ্য সলমান খানকে হত্যা করা নয় বরং তাকে ভয় দেখানো। এছাড়াও প্রায় ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হরিয়ানা। অন্যান্য রাজ্য থেকে ডাকা হয়েছে। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ মামলার সাক্ষী হিসাবে সলমানের খানের বক্তব্য রেকর্ড করতেও প্রস্তুত। গতকাল বিকেলে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে অভিনেতার সঙ্গে দেখা সলমান খানকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেন। তিনি অভিনেতার বাড়ির বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, "সরকার আপনার সঙ্গে আছে, আমি সালমান খানকে বলেছি। অভিযুক্ত দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা মামলার মূলে যাব। কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। লরেন্স বিষ্ণোইকে আমরা খতম করবই।" গত বছর, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) বলেছিল যে সলমান খানকে ১০ টি প্রধান লক্ষ্যের তালিকায় শীর্ষে রাখা হয়েছে। যাদেরকে কারাগারে আটক গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই নির্মূল করার পরিকল্পনা করছেন।