For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

সন্দেশখালির প্রাকৃতিক দৃশ্য বারবার আকৃষ্ট করেছে চিত্র পরিচালকদের

04:26 PM Mar 02, 2024 IST | Subrata Roy
সন্দেশখালির প্রাকৃতিক দৃশ্য বারবার আকৃষ্ট করেছে চিত্র পরিচালকদের
Advertisement

সুব্রত রায়: 'সন্দেশখালি' এই নামটি এখন সবার পরিচিত। বিগত কয়েকদিন ধরে চলা আন্দোলন সন্দেশখালিকে এক নতুন রূপ দিয়েছে। অশান্ত সন্দেশখালি প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমে হেডলাইনে জায়গা করে নিয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের এখন মুখে মুখে 'সন্দেশখালি' নামটি। প্রতিনিয়ত সেই সন্দেশখালিতে শান্তি ফেরাতে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে। নতুন নতুন জায়গায় বার বার ১৪৪ ধারা বলবৎ করতে হচ্ছে। কিন্তু এই সন্দেশখালি কখনো অশান্ত ছিল না। তার শান্ত পরিবেশ আর মনোরম দৃশ্য বারে বারে আকৃষ্ট করেছে চিত্র পরিচালকদের। প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক শক্তি সামন্ত জীবিত থাকাকালীন এই সন্দেশখালিকে তার শুটিং স্পট বেছে নিয়েছিলেন। সন্দেশখালির(Sandeshkhali) দু'নম্বর ব্লকের তুষখালী গ্রামে মহানায়ক উত্তমকুমার আর শর্মিলা ঠাকুরকে নিয়ে তিনি দিনের পর দিন' অমানুষ' সুপারহিট বাংলা ছবির শুটিং করেছিলেন। এই তুষখালি গ্রামে শর্মিলা ঠাকুরকে নিয়ে শক্তি সামন্ত সেই বিখ্যাত গান ওই চোর কাঁটা ... শুটিং এই গ্রামেই হয়েছিল।

Advertisement

তবে মহানায়ক উত্তমকুমার(Uttamkumar) যে লঞ্চটিতে অমানুষ বাংলা ছবির শুটিং করেছিলেন সেই লঞ্চটি এখনো রাখা রয়েছে সযত্নে। শুধু তাই নয় , শুটিং চলাকালীন তিনি যে বাংলাতে থাকতেন ,সেই বাংলোটিও রয়েছে এখনো। 'অমানুষ' ছবিতে একাধিক গানে ও দৃশ্যে সন্দেশখালির একাধিক এলাকাকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন পরিচালক শক্তি সামন্ত। একইসঙ্গে 'কি আশায় বাঁধি খেলাঘর' এই জনপ্রিয় গানটির ক্ষেত্রেও যে দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করা হয়েছিল, তা এই সন্দেশখালির নদী পথ এলাকাকেই।মহানায়কের নানা গল্প থেকে জানা যায়, একবার লঞ্চে শুটিং শেষে মহানায়ক উত্তম কুমার ও শর্মিলা ঠাকুর ফেরার পথে নদী বক্ষে লঞ্চ চালক রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিলেন। সেই সময় লঞ্চের চালক দূরে একটি আলোর বিন্দু দেখতে পেয়েছিলেন। ধীরে ধীরে লঞ্চ টিকে সেদিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর সন্দেশখালির একটি গ্রামের কিনারাতে পৌঁছেছিলেন উত্তম কুমার এবং শর্মিলা ঠাকুর(Sharmila Thakur)। সেই রাতে মহানায়ককে চোখের সামনে দেখার জন্য সন্দেশখালীর গ্রামের মানুষ টর্চ, লন্ঠন ও হ্যাজাক আলো নিয়ে হাজির হয়েছিলেন নদীর পাড়ে। মহানায়ক অমানুষ ছায়াছবির শুটিং চলাকালীন সন্ধ্যার পর শুটিং শেষ হলেই বাংলোতে ফিরে গ্রামের মানুষদের সঙ্গে গল্পতে মেতে উঠতেন। আসলে নদীমাতৃক এই সন্দেশখালি এলাকার মানুষ খুব শান্ত প্রিয়।

Advertisement

খুব আন্তরিক আর অতি সহজ সরল।ভেড়ি আর নদী এবং তার সংলগ্ন সন্দেশখালির অপরূপ সবুজের হাতছানি ফের আকৃষ্ট করেছিল বিগ বাজেটের ছায়াছবি 'চাঁদের পাহাড়কে'। টলিউডের সুপারস্টার দেবকে ভেঙ্কটেশ্বর ফিল্মস বেশ কিছু দৃশ্যতে সন্দেশখালিতে নিয়ে গিয়েছিল শুটিংয়ের জন্য। শুধু তাই নয় টেলি ধারাবাহিক আবার প্রলয় শুটিংয়ে সন্দেশখালি এলাকার বেশ কিছু দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল। সম্প্রতি ২৯ তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শুভারম্ভ অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সলমান খান সহ বলিউডের নায়ক নায়িকা ও চিত্র পরিচালকদের এ রাজ্যেতে বেশি করে শুটিং স্পট করার জন্য আবেদন জানান। সেখানে তিনি পাহাড় জঙ্গলের পাশাপাশি সুন্দরবন এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার সৌন্দর্যের কথাও তুলে ধরেছিলেন। জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বলিউডের অনেক পরিচালকই তাদের পরবর্তী শুটিং স্পট সুন্দরবন ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাতে মনে মনে ভেবে রেখেছেন।

এখন অপেক্ষা শুধু সন্দেশখালি সেই পুরনো শান্ত পরিবেশ ফিরে আসার সন্ধিক্ষণের। যাতে আবারও কোন না কোন ছবির পরিচালক নায়ক নায়িকাদের নিয়ে এই সন্দেশখালির গ্রামগুলিকে তাদের ক্যামেরাতে ব্যবহার করতে পারে কোন না কোন গল্পের আঙিনায়। আর একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। তাই সন্দেশখালি তার চেনার ছন্দে ফিরবে এই আশায় বুক বেঁধে রয়েছে টলিউড , বলিউড সহ টেলিফিল্মের প্রযোজকরা। নতুন ভোর আর নতুন সূর্যের আলোয়, সন্দেশখালি আবার হয়তো বলে উঠবে, নতুন সূর্য আলো দাও আলো দাও.....

Advertisement
Tags :
Advertisement