বহিরাগতরা গ্রামবাসীদের হাতে টাকা গুঁজে দিয়ে অশান্তি পাকাচ্ছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, সন্দেশখালি: জেলিয়াখালিতে সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখল করে তাতে পোল্ট্রি ফার্ম করেছিল তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা। বুধবারের পর ফের শুক্রবার সকাল থেকে সেই সব জমি দখলের নামলো গ্রামবাসীরা। যদিও গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত দুদিন ধরে গ্রামবাসীদের হাতে বহিরাগতরা এসে টাকা গুঁজে দেয়। সহজ সরল গ্রামবাসীগুলিকে ভুল বুঝিয়ে অর্থ লোভ দেখিয়ে তাদের ক্ষিপ্ত করে তোলে। এরপরেই শুক্রবার সকাল থেকে শিবপ্রসাদ হাজরার(Sibaprasad Hazra) পোল্ট্রি ফার্ম- এ আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে জমির দখল নেয় একদল গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ তাদের জমি দখল করে পোল্ট্রি ফার্ম ও মেছোভেরি তৈরি করেছিল শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দাররা।
এরা প্রত্যেকেই শেখ শাহজাহানের(Sk.Sahazahan) অনুগামী। সামন্ত প্রভুদের কায়দায় শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারদের ভয়ে নিজেদের জমিতেই পোল্ট্রি ফার্মে বেগার খাটতে হতো জমির মালিকদের। মজুরি চাইলেই জুটতো প্রহার, জন খাটা স্বামীদের মেরে কোমর ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন গ্রামের মহিলারা। পুলিশ জানিয়েছে এইসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।গত কয়েক দিনের পাশাপাশি শুক্রবার সন্দেশখালি এলাকায় আবারো সংগঠিত হলো বিক্ষোভ।
সন্দেশখালির দুই তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সরদারকে গ্রেফতারের দাবিতে এদিন মহিলারা হাতে লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সন্দেশখালি এলাকার কয়েকশো মহিলারা এই বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারী মহিলাদের অভিযোগ এলাকায় মহিলাদের সম্মানহানি করা হচ্ছে। এলাকায় কোন উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে না, তৃণমূলের কোনো মিটিং মিছিলে যদি না যায় এলাকার মানুষেরা তাদের রেশন বন্ধ করে দিচ্ছে, জব কার্ডের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হতো। জব কার্ডের কাজের টাকা ও তারা হাতিয়ে নিত। এই নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলেই শুনতে হতো নানান হুমকি।
থানায় গেলেও কোন ব্যবস্থা নিতো না পুলিশ। যদি ওই সব অভিযোগ এবং বিক্ষোভের পেছনে বহিরাগতদের মদত মাওবাদী (Maoist)সংগঠনের ইন্ধন এবং বহিরাগতদের অর্থ যোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) যে বহিরাগতরা ঢুকে সেখানে গোলমাল পাকাচ্ছে ,অগ্নি সংযোগগের ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং শান্ত গ্রামবাসীদের ক্ষেপিয়ে তুলছে, তাদের চিহ্নিত করতে শুক্রবার দুপুর থেকে পুলিশ গ্রামগুলিতে অভিযান শুরু করে। একের পর এক পোল্ট্রি ফার্ম এবং বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর পুলিশ লাঠি নিয়ে ধেয়ে যায়।