OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

সন্দেশখালির বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে কড়া নির্দেশ মমতার

02:52 PM Feb 09, 2024 IST | Subrata Roy

নিজস্ব প্রতিনিধি, সন্দেধখালি: সন্দেশখালির আন্দোলন শুক্রবার তৃতীয় দিনে পড়লো। এদিকে আন্দোলনের নামে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে তা অবিলম্বে রোখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee) রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে(DG Rajeev Kumar) কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরই শুক্রবার দুপুর থেকে পুলিশ ও র‍্যাফ বাহিনী টোটো ও সাইকেল ভ্যানে করে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করে। গত এক সপ্তাহ ধরে বিদ্বেষ জমছিল গ্রামবাসীদের মধ্যে।সেই বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ ঘটে বুধবার থেকে। যদিও গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী বহিরাগত মাওবাদীরা সেখানে প্রবেশ করে এবং নকশাল পন্থী নেতারা স্থানীয় সহজ সরল গ্রামবাসীদের নানাভাবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে উগ্র করে তোলে।

শুক্রবার সকাল থেকে থমথমে বসিরহাটের(Bashirhat) সন্দেশখালি। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে এবং এখনো পর্যন্ত থানা চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে । রাতে আন্দোলন বিক্ষোভ রেশ কিছুটা স্থিত হলেও দিনের আলো ফুটতেই সকাল থেকে ফের একে একে আদিবাসীরা জড়ো হন আন্দোলন করার জন্য। শয়ে শয়ে মহিলারা লাঠি ,ঝাঁটা হাতে নিয়ে সন্দেশখালি থানার(Sandeshkhali P.S.) সামনে জড়ো হন।যতক্ষন পর্যন্ত সন্দেশখালি ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা ও জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সরদারকে গ্রেফতার না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভরত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। গোয়েন্দারা দাবি করছে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে মাওবাদী সংগঠন সহ নকশালপন্থী বিভিন্ন ছাত্র নেতারা। একই সঙ্গে বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি ও সিপিএমের মদত রয়েছে যথেষ্ট।

অন্যদিকে, সন্দেশখালির সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার সহ ১১৭ জনের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা। তাকে খুনের চেষ্টা, আদিবাসীদের উস্কে আন্দোলন, বেআইনি জমায়েত করে অপরাধ সংগঠিত করা ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের বের করে তাদের হাতে লাঠি ধরিয়ে দেওয়া, শান্ত সন্দেশখালিকে অশান্ত করতে পরিকল্পনা, বারবার মিছিল বিক্ষোভ করে পুলিশকে হেনস্থা করার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শিবপ্রসাদ হাজরা। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ উভয় পক্ষের মোট আটজনকে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।ধৃতদের শুক্রবার বসিরহাট আদালতে(Bashirhat Court) হাজির করা হয়। তবে আন্দোলন কারীদের অভিযোগ শেখ শাজাহান, শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করার বদলে পুলিশ তাদের সঙ্গে গোপন ডেরায় বসে মিটিং করছে। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসন অবশ্যই এসব অভিযোগের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলে মনে করছে।

Tags :
Sandeshkhali ViolenceSandeshkhali Violence Should Be Stop Immidetaly By Order CM
Next Article