বড় ধাক্কা! বিয়ে সংক্রান্ত মামলায় ইমরান ও বুশরার আবেদন খারিজ করল আদালত
নিজস্ব প্রতিনিধি: বড় ধাক্কা! বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একটি আদালত কারাবন্দী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির অবৈধ বিবাহের মামলায় তাঁদের সাত বছরের সাজা স্থগিত করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। বুশরা বিবির প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার ফরিদ মানেকার আবেদনের ভিত্তিতে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা আদালত এই দম্পতিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পর এক দিন পরে এই সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও পরে ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়।
জানা গিয়েছে, ইমরান এবং তাঁর ডেপুটি শাহ মাহমুদ কুরেশি কে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করার অভিযোগে ১০ বছরের সাজা দেওয়ার একদিন পরে ইমরান ও বুশরা বিবির অবৈধ বিয়ের মামলার এই সাজা ঘোষণা হয়েছিল। এই মাসের শুরুতে সাইফার মামলায় ইমরান এবং কুরেশিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি, এবং তোশাখানা মামলার শাস্তি এপ্রিলে স্থগিত করা হয়। তবে অবৈধ বিয়ের মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে ৫০০,০০০ টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়েছিল। আগে ঘটনাটির বিষয়ে জানা দরকার! মামলাটি বুশরা বিবির স্বামী মানেকা করেছিল। যাঁর দাবি ছিল, বুশরা বিবিকে তার 'ইদ্দত' সময়কালে ইমরনা খানকে বিয়ে করেছিলেন। ইদ্দতকাল (তিন মাস) হল মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি নিয়ম, যা একজন মুসলিম মহিলাকে তার স্বামীর মৃত্যু বা বিবাহ ভেঙে যাওয়ার কারণে পালন করতে হয়।
মানেকা, তার পিটিশনে জানিয়েছিলেন, বুশরা এবং খানের বিয়েটা ছিল একেবারে অবৈধ। কারণ তাঁদের বিবাহটি বুশরা বিবির ইদ্দত চলাকালীন হয়েছিল। বুশরা বিবির প্রাক্তন স্বামীও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর পরিবারকে কলঙ্কিত করার অভিযোগ করেছেন৷ মানেকার সঙ্গে বুশরা বিবির প্রায় ৩০ বছর দাম্পত্য ছিল। একটি পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, এই মামলাটি নারী কর্মী এবং আইনজীবীদের দ্বারা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল। কর্মীরা রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদে প্রতিবাদ করেছিল। এর আগে, ইসলামাবাদ জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক এই মামলার শুনানি করেছিলেন। যেখানে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) আদালতকে ইমরান ও বুশরা বিবির দোষী সাব্যস্ততার বিরুদ্ধে প্রধান আপিল গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ইমরান এবং বুশরা বিবিকে পাকিস্তানের দণ্ডবিধির 496 ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যদি তাঁরা জরিমানা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দুজনের কারাদণ্ড আরও চার মাস বাড়িয়ে দেওয়া হবে। সুতরাং তাঁদের জেলেই থাকতে হবে।