OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

২২,৭০০টি কর সংক্রান্ত বিবাদের নিষ্পত্তি, রাজ্যের কোষাগারে এল ৮৬৩ কোটি

সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২২,৭০০টি কর সংক্রান্ত বিবাদের মীমাংসা ঘটিয়ে রাজ্য সরকার ঘরে ৮৬৩ কোটি টাকা তুলে ফেলেছে।
10:33 AM Apr 05, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৭ সালের জুলাই থেকে দেশে চালু হয়েছে অভিন্ন পরোক্ষ করবিধি বা GST। কিন্তু তার আগে এ রাজ্যে যে কর ব্যবস্থা চালু ছিল, তা নিয়ে বেশ কিছু আইনি জটিলতা বা মামলা মকদ্দমায় জড়িয়েছিল রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। সেই জট কাটিয়ে কর সংক্রান্ত বিবাদ প্রায় মিটিয়ে আনল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। শুধু মিটিয়ে আনাই নয়, আদালতের বাইরেই সেই সব বিবাদের মীমাংসা করে গত একবছরে রাজ্যের কোষাগারে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা তুলে ফেলেছে রাজ্য সরকার। এরাজ্যে বিভিন্ন শিল্প সংস্থার তরফে অমীমাংসিত কর সংক্রান্ত মামলা(Pending Tax Cases) বিভিন্ন ট্রাইবুনাল বা কোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। রাজ্য সরকারের হিসেব অনুযায়ী, সেই বিবাদ বা অমীমাংসিত কেসের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। এই কেসগুলি অহেতুক দীর্ঘায়িত না করে, তার এককালীন মীমাংসার সুযোগ করে দেয় রাজ্যের অর্থদপ্তর। সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২২,৭০০টি কর সংক্রান্ত বিবাদের মীমাংসা ঘটিয়ে রাজ্য সরকার ঘরে ৮৬৩ কোটি টাকা তুলে ফেলেছে।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের বিধানসভায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থার কর সংক্রান্ত বিবাদ বা অমীমাংসিত কেসের সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। মুখ্যমন্ত্রী এই সব কেসের মীমাংসা চান। তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে তিনি একটি প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে তার জন্য ২ মাস সময়সীমা রাখা হলেও পরবর্তীকালে তা বাড়ানো হয়। সরকারের দাবি, ছোট শিল্প বা ট্রেডিং সংস্থাগুলির পাশাপাশি বড় সংস্থাগুলিও যাতে ওই মীমাংসা প্রকল্পের আওতায় আসে, তার জন্য প্রচার চালানো হয় জোর জদমে। রাজ্যের অর্থ দফতর সূত্রের খবর, গত অর্থবর্ষে ২৫ হাজার কেসের মধ্যে ২২,৭০০টির নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। তা থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে এককালীন ৮৬৩ কোটি টাকা।

চন্দ্রিমার ঘোষিত সেই প্রকল্প চালু হয় ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে। প্রকল্পটি চালু করার সময় সময় রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, বকেয়া কর, সুদ, পেনাল্টি, লেট ফি প্রভৃতির মীমাংসার জন্য নামমাত্র টাকায় মেটানোর সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা। দেখা যায়, সেই প্রলল্প চালুর প্রথম ২ মাসেই প্রায় ১২ হাজার সংস্থা এই প্রকল্পের সুযোগ নিয়েছে। এর ফলে সেইসময় রাজ্যের আয় হয় ১০০ কোটি টাকারও বেশি। এরপরই সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। এই প্রকল্পে সরকার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির পারস্পরিক লাভ হবে বলেই সেই সময় দাবি লরেছিল রাজ্যের অর্থ দফতর। তাঁদের বক্তব্য ছিল, GST চালুর আগে কর সংক্রান্ত যেসব বিরোধ কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েও অমীমাংসিত ছিল সেগুলির বকেয়া করের ১৫ শতাংশ মেটালে সংস্থাগুলি তাদের আর্থিক বিবরণী আরও অনেক বেশি স্বচ্ছ রাখতে পারবে। শিল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে তা অনেকটাই আর্থিক রেহাই দেবে বলেও দাবি করা হয়।

দেখা যাচ্ছে, VAT, GST এবং Sales Tax’র ক্ষেত্রে বিরোধের মীমাংসা করা গিয়েছে মাত্র ১৫ শতাংশ কর মিটিয়। এক্ষেত্রে পেনাল্টি, সুদ এবং লেট ফি বাবদ যা বকেয়া আছে, সেখানেও ১০০ শতাংশ রেহাইয়ের সুযোগ পেয়েছেন করদাতারা। Entry Tax’র ক্ষেত্রে বকেয়া করের ৫০ শতাংশ মেটানোর সুযোগ দেয় রাজ্য। এক্ষেত্রে পেনাল্টি ও অন্যান্য বকেয়া মকুব করা হয়। ট্রান্সপোর্ট সংস্থাগুলিকেও রাজ্য সরকারের এই স্কিমের আওতায় আনা হয়। সেক্ষেত্রে কর বকেয়া রাখার জন্য যে পেনাল্টি দেওয়ার কথা, তার ২ শতাংশ বা ১৫ হাজার টাকা—দু’য়ের মধ্যে যেটি কম, সেটুকু মেটায় সংস্থাগুলি। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বক্তব্য, এই বিপুল সংখ্যক কেসে নজর রাখতে গিয়ে ধাক্কা খাচ্ছিল কর আদায় সংক্রান্ত পরিকাঠামো ও দক্ষতা। তার জন্য কর্মীদের ব্যস্ত রাখতে হতো। সেই সমস্যা মিটেছে। এবার GST আদায় আরও দক্ষতার সঙ্গে করা যাবে বলে দাবি অর্থ দফতরের আধিকারিকদের।  

Tags :
GSTMamata BanerjeePending Tax CasesSales TaxVATWest Bengal State Government
Next Article