For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

মোদির CAA নীরবতায় ক্ষুব্ধ শান্তনু, গুরুত্ব বাড়ছে মমতাবালার

শান্তনু নাকি ঘনিষ্ঠদের কাছে জানিয়েছেন, বিজেপি CAA নিয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা না দিলে তিনি প্রার্থী পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। লড়াই করবেন না ২৪’র ভোটে।
12:53 PM Mar 07, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
মোদির caa নীরবতায় ক্ষুব্ধ শান্তনু  গুরুত্ব বাড়ছে মমতাবালার
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: পদ্মের প্রার্থী তিনি। অথচ তিনি যে সম্প্রদায়ের নেতা সেই সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের কোনও বার্তাই দিলেন না প্রধানমন্ত্রী! এক আধটা সভা থেকে নয়, পর পর ২টি সভাতেই CAA নিয়ে নীরবই থাকলেন নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। প্রথমে কৃষ্ণনগর এবং তারপর বারাসত। দুটো জায়গাতেই সভা করে নানান বার্তা দিলেও CAA নিয়ে একটি শব্দ খরচ করলেন না মোদি। অথচ এই দুটি শহর এমন দুটি জেলায় যেখানে কয়েক লক্ষ মতুয়ার(Matua) বসবাস। নদিয়া আর উত্তর ২৪ পরগনা। এই মতুয়া সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি নাগরিকত্ব, যা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে বাংলার বুকে উনিশ ও একুশের ভোটে তাঁদের সমর্থন আদায় করেছিল পদ্ম শিবির। এখন তাঁরাই মুখে কুলুপ এঁটেছে সেই CAA নিয়ে। আর সেটাই চরম বিড়াম্বনায় ফেলে দিয়েছে তাঁকে মানে শান্তনু ঠাকুরকে(Shantanu Thakur)। অথচ তিনিই ২৪’র ভোটে(General Election 2024) বিজেপির ঘোষিত বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। অথচ তিনিই কিনা হাজির থাকলেন না বারাসতে মোদির সভায়।  

Advertisement

শান্তনু ঘনিষ্ঠদের দাবি, শুধু তিনি নন, মতুয়া সমাজের একটা বড় অংশের আশা ছিল কৃষ্ণনগরের সভা থেকে মোদি CAA নিয়ে কিছু বার্তা দেবেন। কিন্তু সেদিন মোদির সভায় শান্তনু নিজে হাজির থাকলেও প্রধানমন্ত্রী এই নিয়ে একটি ও শব্দ খরচ করেননি। গতকাল শান্তনুর নিজের জেলাতে সভা করেছেন মোদি, অথচ সেই সভায় গরহাজির শান্তনু। ভুললে চলবে না তিনি এখনও কেন্দ্রের জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। অথচ তাঁর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত তিনি। কেন অনুপস্থিত তিনি? শান্তনু জানিয়েছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কাজ ছিল। তার জন্যই বারাসতের সভায় যেতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী যা ভাল মনে করেছেন, তাই বলেছেন। এই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। সময় হলে নিশ্চয়ই বলবেন।’ আর এখানেই প্রশ্ন, এটা কী দূরত্ব বৃদ্ধির ইঙ্গিত। বিজেপির সঙ্গে কী দূরত্ব বাড়াচ্ছেন শান্তনু? সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই শান্তনু নাকি ঘনিষ্ঠদের কাছে জানিয়েছেন, বিজেপি CAA নিয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা না দিলে তিনি প্রার্থী পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। লড়াই করবেন না ২৪’র ভোটে। কার্যত শুধু শান্তনু নয়, বিজেপির(BJP) ওপর ক্ষুব্ধ মতুয়া সমাজও। আর এই কারণেই গতকাল বারাসতের সভায় মতুয়াদের ভিড় সেভাবে চোখে পড়েনি।

Advertisement

এই ঘটনাপ্রবাহের মধ্যেই মতুয়া সমাজে গুরুত্ব বেড়েছে ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে যাওয়া মমতাবালা ঠাকুরের। কেননা তিনি শুধু তৃণমূলের সাংসদ হয়ে গিয়েছেন তাই নয়, তিনি মতুয়াদের ধর্মস্মাজের কেন্দ্র ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির বউ। মতুয়াদের ঘরের মেয়ে তিনি। তারওপর সম্প্রতি তিনি শান্তনুর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ এনেছেন। পাশপাশি একুশের পরবর্তী রাজ্যের পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে, বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়ে দূরত্ব বাড়িয়েছে মতুয়ারা। সেই আঁচ টের পেয়েছেন শান্তনুও। আর তাই সময় থাকতে থাকতেই বিজেপি থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন শান্তনু। কার্যত অনেকেরই আশঙ্কা, মতুয়ারা বিজেপির দিক থেকে মুখ ফেরানোয়, ২৪’র ভোট যুদ্ধে শান্তনুর জেলা কার্যত চূড়ান্ত অনিশ্চিত। সেটা শান্তনু নিজেও বুঝে গিয়েছেন। এটাও বুঝতে পেরেছেন যে, বিজেপি কার্যত মতুয়া সমাজকে ব্যবহার করে চলেছে ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে। বিনিময়ে শুধু নাগরিকত্বের টোপ ঝুলিয়ে রেখেছে। আর তাই শান্তনুও ভিতর ভিতর কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেটা লোকসভা ভোটার আগে হোক কী পরে!

Advertisement
Tags :
Advertisement