ফের আইনি বিপাকে শিল্পা-রাজ কুন্দ্রা, তারকা দম্পতির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের আইনি বিপাকে অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি এবং তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রা। ২০২১ সালের জুলাইতে পর্ণোগ্রাফি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ কুন্দ্রা। প্রায় ৩ মাস জেল খাটার পর অবশেষে তিনি জামিনে মুক্তি পান। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, উঠতি মডেলদের জোর করিয়ে পর্ণ ছবির শুটিং করাতেন রাজ কুন্দ্রা।এমনকী তাঁর জুহুর বাড়ি অনুসন্ধান করেও ৭০ টি পর্ণ সিডি পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টিও কিছুদিন কাজ থেকে ছুটি নেন। তবে এই ঘটনা এখন ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। তবে রাজ কুন্দ্রাকে নিয়ে বিতর্ক এখানেই শেষ নয়। এ বছরে পঞ্জি কেলেঙ্কারিতে আর্থিক জালিয়াতির দায়েও আইনি বিপাকে পড়ে ছিলেন শিল্পা শেট্টি এবং রাজ কুন্দ্রা। তাঁদের ১০০ কোটির সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
এবার শিল্পা ও রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিল মুম্বাই সেশনস কোর্ট। আবার কি অপরাধ করলেন তাঁরা? সম্প্রতি অভিনেত্রী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। এ কারণে উভয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতে দায়ের করা প্রতারণার মামলাটি প্রাথমিকভাবে বিচারযোগ্য অপরাধ। সেশন কোর্টের বিচারক এনপি মেহতা বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সকে (বিকেসি) বুলিয়ন ব্যবসায়ী পৃথ্বীরাজ সরেমল কোঠারির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও, আদালত বলেছে যে, যদি তদন্তের পরে অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হয়, তবে পুলিশকে এই মামলার অধীনে আইপিসির সমস্ত প্রয়োজনীয় ধারায় এফআইআর নথিভুক্ত করতে হবে এবং অভিনেত্রী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করতে হবে।আদালত আরও বলেছে যে, অভিযুক্তদের দ্বারা কোনও গর্হিত অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ উভয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
অভিযোগটা কী?
শিল্পা শেঠি এবং তার স্বামী রাজ কুন্দ্রা সত্যযুগ গোল্ড প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। ২০১৪ সালে তারা তাঁদের কোম্পানির অধীনে একটি স্কিম শুরু করেছিল, যার অধীনে বিনিয়োগ করেছেন অনেকে। শর্ত ছিল, স্বর্ণের জন্য আবেদন করার সময় ছাড়ের হারে সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান করতে হবে এবং মেয়াদ শেষে তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনা ফেরত দেওয়া হবে। ওই সময়ে বাজারে সোনার যে দামই থাকুক না কেন সোনা সংশ্লিষ্ট পরিচালককে সেই টাকাই দিতে হবে। আর এই স্কিমের ক্ষেত্রে একটি গ্যারান্টিও দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো অভিযোগকারীও এই স্কিমের একজন ভোক্তা। তাঁর অভিযোগ, শিল্পা এবং রাজ কুন্দ্রা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং সময়মতো সোনা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। উভয়ের আশ্বাসে, কোঠারি এই স্কিমে ৯০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এর অধীনে, ২০১৯ সালে ২ এপ্রিল ৫ বছর পূর্ণ হলে তাঁকে ৫০০০ গ্রাম 24-ক্যারেট সোনা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তাকে বলা হয়েছিল যে বাজার মূল্য নির্বিশেষে তাকে সোনা দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ৫ বছর পূর্ণ হলেও, শিল্পা শেঠি এবং রাজ কুন্দ্রার কোম্পানি তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি এবং কোঠারিও তাদের কোম্পানি থেকে সোনা পাননি। এরপরেই তিনি থানায় মামলা করেন।