For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

গার্ডেনরিচ কাণ্ডে বন্ধু ফিরহাদকে বার্তা প্রাক্তন শোভনের

গার্ডেনরিচ কাণ্ডে সবাই যখন ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে দিচ্ছে তখন পাশে থাকা ছায়ার মতো দাঁড়ালেন বন্ধু শোভন চট্টোপাধ্যায়।
01:48 PM Mar 23, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
গার্ডেনরিচ কাণ্ডে বন্ধু ফিরহাদকে বার্তা প্রাক্তন শোভনের
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিপক্ষ নয়। বরঞ্চ বন্ধুর পাশে বন্ধুর মতোই দাঁড়ালেন তিনি। একজন ভীষণরকম বর্তমান। রাজ্যের শাসক দলের সেকেন্ড হেভিওয়েট মন্ত্রী, দলের বিধায়ক, কলকাতার মেয়র এবং অবশ্যই দলের প্রধান সংখ্যালঘু মুখ। অপরজন সব অর্থেই প্রাক্তন। তৃণমূলের(TMC) প্রাক্তন নেতা, প্রাক্তন বিধ্যায়ক, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু বন্ধুত্ব তো আর প্রাক্তন হয়ে যায়নি। সেটা এখনও আছে। আর তাই গার্ডেনরিচ কাণ্ডে(Gardenreach Building Collapse Incident)  সবাই যখন ফিরহাদ হাকিমকে(Firhad Hakim) প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে দিচ্ছে তখন পাশে থাকা ছায়ার মতো দাঁড়ালেন বন্ধু শোভন চট্টোপাধ্যায়(Sovon Chattopadhay)। জানালেন, ‘কলকাতায় পার্টিকুলার কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে কলকাতা পুরনিগমের(KMC) কোনও ইঞ্জিনিয়র বা সুস্থ নাগরিক প্রতিবাদ করলে নিরাপত্তার আশঙ্কা রয়েছে। তবুও বলব বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার জন্য যা করার দরকার, তা করতে হবে।’

Advertisement

গার্ডেনরিচের নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে পুর কমিশনার ধবল জৈন এই তদন্ত কমিটি তৈরি করেছেন। কলকাতা যুগ্ম কমিশনার জ্যোতির্ময় তাঁতিকে এই তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিটিতে রয়েছেন পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগ, জঞ্জাল সাফাই এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আধিকারিকরা। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ, বিএলআরও এবং পুরনিগমের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল মুগ্ধা চক্রবর্তীকেও কমিটিতে রাখা হয়েছে। ঘটনা হচ্ছে, গার্ডেনরিচের ঘটনায় ফিরহাদ এলাকার কাউন্সিলরের ঘাড়ে দোষ চাপাননি। বরঞ্চ জানিয়েছিলেন, ‘কোন বাড়ি বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটা তো কাউন্সিলরের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তিনি জনপ্রতিনিধি। ইঞ্জিনিয়রদের দেখার কথা কোনটা বেআইনিভাবে নির্মীত হচ্ছে।’ ফিরহাদের এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। আর তার পরে পরেই এবার প্রকাশ্যে বন্ধুর পাশে দাঁড়ালেন শোভন। বন্ধুর মতোই। জানালেন কী করতে হবে, আর কোন পথে হাঁটা দিতে হবে।

Advertisement

কী বলেছেন শোভন? কলকাতার প্রাক্তন মেয়র জানিয়েছেন, ‘যা আমিও সেখানে গিয়ে বাস্তবায়ন করতে পারিনি সেটা একজন ইঞ্জিনিয়র, সাব ইঞ্জিনিয়রদের পক্ষে কার্যকর সম্ভব নয়। কোনও প্ল্যান ছাড়া, সরু গলির মধ্যে পাঁচ তলা ছ’তলা বাড়ি হয়ে যাচ্ছে, সেখানে আপনারা খুঁজছেন কাউন্সিলর জানেন কিনা, বিধায়ক জানেন কিনা, মেয়র জানেন কিনা। এগুলোর তোয়াক্কা তারা করে না। কলকাতায় এরকম পার্টিকুলার কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে কলকাতা পুরনিগমের কোনও ইঞ্জিনিয়র বা সুস্থ নাগরিক প্রতিবাদ করলে নিরাপত্তার আশঙ্কা রয়েছে। দায়িত্ব নিতে হবে কলকাতার মেয়রকে। কর্মীর ঘাড়ে দোষ নিশ্চই, দেখতে হবে, অপরাধ থাকলে সাসপেনশন হবে। কিন্তু আমি মেয়র হিসাবে এমন কিছু মন্তব্য করব না, যাতে অন্য মানে হয়। দায়িত্ব নিতে হবে। দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়াটা প্রশাসকের কাজ নয়। মেয়রের এলাকা বলে অবশ্যই হেডলাইন হবে। সেই দায়িত্ব নিতেই হবে। কাউন্সিলরের যদি বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে জানা না থাকে, তাহলে তাঁর যোগ্যতাই নেই।’ এর পাশাপাশি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন প্রাক্তন মেয়র। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো আগেই সিগন্যাল দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘সিগন্যাল কিন্তু ঘটনার পরই দুর্ঘটনাস্থলে এসে ব্যান্ডেজ মাথায় নিয়ে এসে দিয়ে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন এটা বেআইনি। আমার পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী একথা বললে আমি কিন্তু বুঝে যেতাম, তিনি কী বলতে চাইছেন। বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করার জন্য যা করার দরকার, তা করতে হবে।’

শোভন তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন। এই অভিজ্ঞতাও তাঁর কলকাতার মেয়র পদে থাকাকালীন সময়কার। সেটাও ওই বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত। তিনি জানান, ‘বেহালার একটি বাড়িতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তারপর সে বলল আমি বাড়ি তৈরি করতে পারছি না। আমি নিজে গিয়ে দেখি, সেখানে একটা পুকুর। সঙ্গে সঙ্গে সেই অনুমোদন বাতিল করি। আমি নিজেই অনুমোদন দিয়েছিলাম, বুঝতে পেরে, সেই অনুমোদন বাতিলও করে দিই। আমিও তো এরকম একটা পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। চোখের সামনে দেখছি পুরনো বাড়ি ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়ছে। সেখানে বাড়ির বাসিন্দার হঠাৎ মনে পড়ে, ভিতরে কিছু সোনার গয়না রেখেছিলেন। সেটা আনতে ভিতরে ঢোকেন, আর বের হতে পারেননি। আমি মহা বিপদ পড়েছিলাম। আমি তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাই। তিনি তখন অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় উপদেশ দিয়েছিলেন। এই ধরনের ঘটনার সময়ে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’ প্রাক্তন মেয়রের সাফ কথা, বেআইনি বাড়ির বিরুদ্ধে নিশ্চিতভাবে কড়া পদক্ষেপ করা যায়। বাড়িগুলো ভেঙে ফেলতে হবে, সঙ্গে যাঁরা বেআইনিভাবে বাড়ি তৈরিতে অপরাধী, তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ করতে হবে।

Advertisement
Tags :
Advertisement