শুভেন্দুর ‘খলিস্তানি’ বিতর্কে রাজ্যপাল ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনে চিঠি শিখ সম্প্রদায়ের

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) ধামাখালিতে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন। শুভেন্দুর সঙ্গে সেই সময় ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল-সহ দলের কয়েক জন নেতা। কেন তাঁদের আটকানো হচ্ছে, তা নিয়ে পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। সেই সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে ছিলেন রাজ্য পুলিশের(West Bengal State Police) ইনটালিজেন্স ব্রাঞ্চের স্পেশ্যাল সুপার(Special Superintendent of Intelligence Branch) তথা IPS আধিকারিক যশপ্রীত সিং(Jashpreet Singh)। অভিযোগ, পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে যশপ্রীতকে দেখে ‘খলিস্তানি’(Khalistani Remarks) বলে মন্তব্য করা হয়। প্রথম দিকে শুভেন্দু আর অগ্নিমিত্রার দিকেই সেই অভিযোগ ছিল। যদিও দুইজনই সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে তৃণমূলের তরফে ভিডিও বার করে পাল্টা দাবি করা হয় যে, শুভেন্দুই সেই মন্তব্য করেছিলেন। এবার সেই ‘খলিস্তানি’-মন্তব্য বিতর্কের জেরে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস(C V Anand Bose) এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে(ECI) চিঠি দিলেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

শুভেন্দুর ‘খলিস্তানি’ মন্তব্যের বিরোধিতায় কলকাতায় বিজেপির পুরাতন রাজ্য কার্যালায়ের সামনে লাগাতার ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। তাঁরাই এদিন চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। এই বিক্ষোভকারীদের তরফে একটি প্রতিনিধি দল আগেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের হাতে একটি স্বারকলিপি তুলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু এখনও রাজ্যপাল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেননি। আর তাই এবার বিক্ষোভকারীরা রাজ্যপালকে আবারও চিঠি দিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সময় চেয়েছেন। যত দ্রুত সেই সময় দতে আর্জিও জানানো হয়েছে রাজ্যপালকে। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা চিঠগি দিয়েছে দেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে যাতে তাঁরা শুভেন্দুর ওই ‘খলিস্থানি’ মন্তব্যের জেরে কোনও কড়া পদক্ষেপ করেন তাঁর বিরুদ্ধে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, IPS আধিকারিক যশপ্রীত সিংকে তাঁর কর্তব্যরত অবস্থায় ‘খলিস্তানি’ বলে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির প্রতিনিধিদল শিখ ধর্মাবলম্বীদের পাগড়ির ‘পবিত্রতা’ এবং‌ ‘আত্মসম্মান’কে অপমান করেছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে তাই যথোপযুক্ত ব্যবস্থ নিতে হবে কমিশনকে।