প্রবল বর্ষণে ধসের দরুন বন্ধ হয়ে গেল বাংলা - সিকিম যোগাযোগকারী জাতীয় সড়ক
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: বন্ধ হয়ে গেল বাংলা সিকিম যোগাযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তিস্তা বাজার যাওয়ার আগে লিউকোভিড় এবং একই সঙ্গে তিস্তার বাজার এর পরে ভালুখোলায় ধস নামায়, দুই জায়গায়তেই সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সিকিমগামী সমস্ত গাড়িগুলোকে ঘুরিয়ে লাভা, কালিংপং(Kalimpong), মন সুন হয়ে সিকিমে(Sikkim) পাঠানো হচ্ছে। শনিবার রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তিস্তার জল বাড়লেও তিস্তা বাজারে সেই পরিমাণে জল বাড়েনি বলে জানা গেছে।এদিকে,জলপাইগুড়িতে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে কচ্ছপ উদ্ধার হয়। জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) পান্ডাপাড়া জগন্নাথ কলোনী এলাকার বাসিন্দা রবি হাজরা রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে একটি কচ্ছপ(Turtle) দেখতে পান। কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে রেখে খবর দেন পরিবেশ প্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্রীন জলপাইগুড়িকে।খবর পেয়ে কচ্ছপটিকে উদ্ধার করতে ছুটে যান গ্রীন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অংকুর দাস ও দফতর সম্পাদক সৌরভ পাল।গ্রীন জলপাইগুড়ি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অংকুর দাস জানান,আমরা কচ্ছপটিকে আপাততো আমাদের হেফাজতে রাখছি।
রবিবার জলপাইগুড়ি বনদফতরের(Jalpaiguri Forest Department) হাতে কচ্ছপটি তুলে দেওয়া হয়। এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গে(NorthBengal) ওপরের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং ,জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ,কালিম্পং রবিবারও অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এসব জেলাতেও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বর্ষণে সিকিমে স্বাভাবিক যান চলাচল বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে সিকিম ও শিলিগুড়ির মধ্যে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিস্তাতে জলস্তর বৃদ্ধি না পেলেও সিকিমের একাধিক এলাকায় প্রবল বর্ষণে ধ্বস নামতে শুরু করেছে।