নববর্ষে ইংরেজবাজারের জহুরাতলা ও বুড়ো কালীমাতার মন্দিরে পুজো দিলেন সোহম
নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ বাঙালির নববর্ষ। এদিনটার জন্যে সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন বাঙালিরা। এদিনটা কেমনভাবে পালন করবেন সেটা নিয়েও চলতে থাকে দীর্ঘ পরিকল্পনা। আর পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন পোশাক কেনারও ধুম। সঙ্গে তো আছেন ভুরিভোজ। যেহেতু এবার রবিবারেই পড়েছে এই উৎসব, তাই পয়লা বৈশাখ এর এক্সট্রা ছুটি ভাগ্যে জুটল না বাঙালির। তবে যাই হোক, বাইরে যা গরম তাতে বেশিরভাগ বাঙালি বাড়িতেই ভোজ সেরে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছেন। কিন্তু তারকাদের হয়ে গেছে যত সমস্যা। ছুটির দিনেও তাঁদের নানারকম কাজকর্ম থাকেই। কেউ কেউ আবার পরিবারের সঙ্গেই পয়লা বৈশাখ উদযাপন করছেন। এদিকে যে সকল তারকারা রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন, তাঁদের আর পয়লা বৈশাখ নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা নেই।
কারণ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়েই সাধারণ মানুষের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করছেন তাঁরা। যেমন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দোপাধ্যায় এদিন হুগলীতে হুডখোলা গাড়ি চেপে প্রচারে নেমেছেন। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী ঢাকঢোল বাজিয়ে হুগলীর মানুষের সঙ্গেই এই উৎসব সেলিব্রেশন করছেন। অন্যদিকে অভিনেতা-বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী শুভ নববর্ষের দিনে ইংরেজবাজারের জহুরাতলা মন্দির ও বুড়া কালীমাতার মন্দিরে পূজা দেন। বর্তমানে তিনি লোকসভা নির্বাচনে না দাঁড়ালেও তৃণমূলের হয়ে টুকটাক প্রচার সারছেন। এই মূহুর্তে তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের বিধায়ক আসনে রয়েছেন। জনতার ডাকে সবসময় সাড়া দেন এই নেতা তথা অভিনেতা। বর্তমানে টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা হলেন সোহম চক্রবর্তী। রাজনীতির পাশাপাশি অভিনয়ও সামলাচ্ছেন। শিশু শিল্পী হয়ে টলিউডে আত্মপ্রকাশ তাঁর। ছোট বউ চলচ্চিত্রে নায়কের দাদার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি, তাঁর বলা 'ঠাম্মি ঠাম্মি একটি হরলিক্স দাও না, চেটেপুটে খাব', এই সংলাপটা এখনও জনপ্রিয়।
'প্রেম আমার' ছবির মাধ্যমে তিনি নায়ক হিসেবে টলিউডে ডেবিউ করেন। এরপর থেকে টলিউডে তাঁর বিশাল প্রভাব। পাশাপাশি ২০২১ সালে তিনি তৃণমূলে ডেবিউ করেছেন। এরপর থেকে রাজনৈতিক সফরও দৌড়চ্ছে অভিনেতার। আজ নববর্ষ উপলক্ষে দুই মন্দিরে পুজো দিয়ে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী জানিয়েছেন,'বছরের প্রথম দিনে পূজা দিলাম সকলের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যে, সকলে ভালো থাকুক ও সুস্থ থাকুক। সকলে একত্রিত থাকুন এবং শান্তিতে থাকুন। ফ্যান ফলোয়ারদেরও শুভেচ্ছা।' এদিন বিধায়ক কথা অভিনেতার সঙ্গে পুজো দিতে গিয়েছিলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার পৌর প্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস ও প্রসেনজিৎ ঘোষ।