সম্পত্তির জন্য দিদিমা ও মামাতো ভাইকে খুন করে সেপটিক ট্যাংকে দেহ
নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনারপুর:দিদিমা ও মামাতো ভাইকে খুন করে সেফটিক ট্রাঙ্কে দেহ লুকিয়ে ফেলার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুর থানা(Sonarpur P.S.) এলাকার জগদ্দলে। এই বাড়িতে থাকতেন গঙ্গারানী দাস। তার মেয়ের মেয়ে অর্থাৎ নাতনী প্রিয়াঙ্কা দাস ও তার স্বামী শান্তনু দাস ওই বাড়িতে গত দেড় বছর ধরে থাকছিলেন। তারাই এই খুন করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
তাদের আটক করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। দুর্গা পুজোর(Durga Puja) সময় অর্থাৎ মাস দুয়েক আগে শেষ দেখা গিয়েছিল তাদের। গঙ্গারানী দাস(৭৫) ও তার নাতি প্রতিবন্ধী মানস রঞ্জন দাস ওরফে বিট্টু দাস (২৫) নিখোঁজ ছিলেন। গঙ্গারানী দাসের ছেলে ও বৌমা কয়েকবছর আগেই মারা যায়।
গঙ্গারানীর বোন ও মেয়ে শনিবার ওই বাড়িতে যায়। মায়ের সাথে কোনো যোগাযোগ ছিল না প্রিয়াঙ্কার। এদিন তারা গঙ্গারানী দেবীর খোঁজে আসেন। আগেও কয়েকবার এসেছিলেন। এদিন তাদের সাথে ফের খারাপ ব্যবহার করায় প্রতিবেশীদের সাহায্য নেন। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোন কিছু খুঁজে পায় না। কিন্তু হঠাৎ পুরনো বাড়িতে সেফটিক ট্রাঙ্কে(Seftic Trank) নতুন ঢালাই দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের।
তা ভাঙলেই শনিবার বিকেল নাগাদ উদ্ধার হয় দুজনের কঙ্কাল ও হাড় গোড় দেহের। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই বাড়ির নাতনি এবং তার স্বামী দুজনকে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে সম্পত্তির জন্যই এই খুন হয়ে থাকতে পারে। তবে এই খুনের পেছনে সম্পত্তি নাকি অন্য কোন বিষয় ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।