খাবার দিতে এসে জুতো চুরি, সুইগি বয়ের সমর্থনে এসে কটাক্ষের মুখে সোনু সুদ
নিজস্ব প্রতিনিধি: ইচ্ছে, শখ মানুষকে প্রবল অপরাধ করতেও এগিয়ে দিতে পারে! নিজের সমস্ত শখপূরণ করে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে কে না চান, কিন্তু বাঁধ সাধে রোজগার। ইচ্ছে থাকলেও টাকার অভাবে শখপূরণ কোর্টে পারেন না অনেকেই। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা সোশ্যাল মিডিয়াকে। বর্তমানে মানুষ আধুনিক প্রযুক্তির কাঁধে চেপে ধীরে ধীরে আলসেমি গ্রহণ করছে। মুখের সামনেই যদি সবকিছু পাওয়া যেত, তাহলে তো আহ্লাদে আটখানা। তাই তো মানুষ এখন খাওয়ারের অ্যাপগুলির উপর খুবই নির্ভরশীল। শুধু ফোনে একটা ক্লিক, পৌঁছে যাচ্ছে আপনার মনের মতো খাবার নাকের ডগায়। ব্যস, টাকা দিয়েই নিয়ে নিন।
তাতে সময় এবং খাওয়ার ইচ্ছে কোনটাই নষ্ট হয়না। ৯ এপ্রিল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে দেখা যায়, একজন সুইগি ইন্সটামার্ট ডেলিভারি এজেন্ট একটি ফ্ল্যাটে খাবার দিতে এসে, সেখানেই রাখা একটি দামি জুতো নিয়ে চম্পট দেয়। প্রথমে সে ফ্ল্যাটে এসেই ওই নাইকের জুতোটি অনেকক্ষন দেখতে থাকে। এরপর খাবারটি ডেলিভারি করে কিছুক্ষন ভাবতে থাকেন। এরপর কয়েকটা সিঁড়ি বেয়ে নেমে চারপাশে লোকজন আছে নাকি তা দেখতে থাকেন, তারপর মাথা থেকে নিজের ফেট্টি খুলে উপরে উঠে জুতো চুরি করে পালায়। ভিডিওটি X (আগে টুইটার)-এ রোহিত অরোরা নামে একজন ব্যবহারকারী শেয়ার করে লেখেন জুতাটি তাঁর বন্ধুর। আর পুরো ভিডিওটি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়।
তিনি ক্যাপশনে লেখেন, "Swiggy এর ড্রপ এবং পিক আপ পরিষেবা। একজন ডেলিভারি বয় এইমাত্র আমার বন্ধুর জুতা (Nike) নিয়ে পালিয়েছে।" এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় শুরু হলে সুইগি বয়ের সমর্থনে এগিয়ে আসেন অভিনেতা সোনু সুদ। তিনি X হ্যান্ডেলে ট্রোলারদের অনুরোধ করে জানান, 'অধিকাংশ নেটিজেন জানিয়েছে, ডেলিভারি এজেন্টের প্রতি সদয় হন। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন না। পারলে তাঁকে এক জোড়া জুতা কিনে দিন। তার সত্যিই প্রয়োজন হতে পারে। সদয় হোন।'
অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, হয়তো টাকার অভাবে সে দামি জুতো কখনও পড়েনি, তাই অভাবের খাতিরেই নিয়ে নিয়েছে জুতো জোড়া। যদিও অভিনেতার এই সমর্থন মেনে নেয়নি একাধিক নেটিজেন। তাঁরা বলছে, অভিনেতা চুরিকে উৎসাহিত করছে। আবার কেউ কেউ লিখেছেন, "কোনও কাজ না চাওয়া এখনও ঠিক আছে, কিন্তু অযৌক্তিক যুক্তি দিয়ে এটিকে ন্যায়সঙ্গত করবেন না। দারিদ্র্য বা প্রয়োজনে চুরির জন্য কোন যৌক্তিকতা নয়। এই ডেলিভারি বয়ের চেয়েও দরিদ্র লক্ষ লক্ষ মানুষ আছে, যারা কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জন করে। তাদের জীবিকা তারা চুরি করে না।" ।সোনু সুদের পোস্টটি এখন পর্যন্ত ১.৭ মিলিয়ন ভিউ সংগ্রহ করেছে। আর ভিডিওটি গুরুগ্রামের।