৩২ বছরেও চোকার্স তকমা ঘোচাতে পারল না প্রোটিয়ারা
নিজস্ব প্রতিনিধি: ৩২ বছরেও বদলাল না চিত্র। মাঠ বদলেছে, প্রতিপক্ষও বদলেছে। খেলোয়াড়ও বদলেছে কিন্তু ভাগ্য বদলায়নি। চোকার্স তকমা তাড়া করে বেড়াচ্ছে প্রোটিয়াদের। বড় কোনও টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সৌভাগ্য হল না আইডেন মার্করামদের।ফের হাত থেকে ফস্কে গেল কাপ।
অথচ ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে চোকার্স তকমা ঘোচানোর দুর্দান্ত সুযোগ এসেছিল কুইন্টন ডি’ককদের কাছে। প্রথমে ব্যাট করে ১৭৬ রান তুলেছিল টিম ইন্ডিয়া। শুরুতে ধাক্কা খেলেও ডি’কক-ত্রিস্তান স্টাবস-হাইরিখ ক্লাসেনরা ফাইনাল ম্যাচ নিজেদের হাতের মুঠোয় প্রায় পুরে নিয়েছিলেন। হাইনরিখ ক্লাসেন যখন ২৭ বলে ৫২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন তখন শিরোপা জিততে প্রোটিয়াদের দরকার ছিল ২৩ বলে ২৬ রান। হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। আইডেন মার্করামরা ওই পরিস্থিতিতে হারবেন তা স্বপ্নেও ভাবেননি অতি বড় ভারতীয় সমর্থক।
কিন্তু ভারতীয় সমর্থকরা যা ভাবেননি, তাই ঘটল। ডেথ ওভারে বল করতে এসে শেষ দু’ওভারে মাত্র ছয় রান দিয়ে এক উইকেট নিয়ে প্রোটিয়া শিবিরকে চাপে ফেলে দিলেন যশপ্রীত বুমরা। মার্কো জানসেন-কেশব মহারাজরা হাত খুলে মারার পরিবর্তে ভারতীয় বোলারদের মাথায় চড়ার সুযোগ দিলেন। দুজনে ১১ বলে তুললেন মাত্র সাত রান। জয়ের জন্য শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রানের। তখনও ক্রিজে ছিলেন অনেক ম্যাচে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলা ডেভিড মিলার। শেষ ওভারে হার্দিক পাণ্ড্যর ফুলটস মাঠের বাইরে পাঠাতে চেয়েছিলেন। উল্টে সূর্যকুমার যাদবের তালুবন্দি হয়ে ফিরলেন। ম্যাচের ভাগ্য ওখানেই নির্ধারিত হয়ে গেল।
১৯৯২ সালে একদিনের বিশ্বকাপে প্রথম সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল প্রোটিয়ারা। তার পরে একদিনের ও টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে মোট সাত বার সেমিফাইনালে উঠলেও ফাইনালের টিকিট জোগাড় করতে পারেনি। এবারই প্রথম ফাইনালে ওঠার স্বপ্নপূরণ হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের। কিন্তু অধরাই থেকে গেল বিশ্বসেরার স্বপ্ন। চাপের মুখে ফের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল প্রোটিয়াদের ব্যাটিং অর্ডার। আর অক্ষত থেকে গেল চোকার্স তকমা।