দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যায় মৃত্যু অন্তত ২২ জন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও মধ্যাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গায় তুষারপাতের খবরও পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পূর্বাঞ্চলীয় দুই প্রদেশের বেশ কয়েকটি স্থান এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে দুই দফা টর্নেডো আঘাত হেনেছে এবং এর পর থেকেই সেখানকার তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টি ও তীব্র ঝড়ের কারণে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি পোশাক, খাদ্য এবং কম্বল সহায়তা দেওয়া জন্য আবেদন জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেশী কোয়াজুলু-নাতালের প্রাদেশিক সরকারও জানিয়েছে যে, বন্দর নগরী ডারবান এবং এর আশেপাশে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছে।
প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ কোয়াজুলু-নাতাল সতর্কতা জারি করেছে।প্রাদেশিক সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৫৫ জন সামান্য থেকে মাঝারি আঘাত পেয়েছেন এবং তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১২০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তিনটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।
এই বিপর্যয় নিয়ে নেলসন ম্যান্ডেলা বে মিউনিসিপ্যালিটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইস্টার্ন কেঁপে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই কারণেই নেলসন ম্যান্ডেলা উপসাগর থেকে দুই হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে পৌরসভার অস্থায়ী বাড়িগুলো থেকে বহু মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে। বন্যার জলে যাঁদের বাড়ি-ঘর ভেসে গেছে, তাঁদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।
এছাড়াও রাস্তা-ঘাট প্লাবিত হয়েছে এবং গাছ উপড়ে পড়েছে। ফলে অনেক স্থানেই বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার নয়টি প্রদেশের চারটিতে আবহাওয়া সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
উল্লেখ্য দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল ২০২২ সালে। এখানকার ডারবান এবং এর আশেপাশের এলাকায় সেই সময় ভূমিধসে চার শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায়। তবে এবারের ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় নাজেহাল স্থানীয়রা।