এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বেআইনি নির্মাণের প্রবণতা বেড়েছে, অভিযোগ বিধানসভা অধ্যক্ষের
নিজস্ব প্রতিনিধি: এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বেআইনি নির্মাণের প্রবণতা বেড়েছে । এটা বাঞ্ছনীয় নয় । পুরসভা সর্তক রয়েছে । সব জায়গায় পুরসভা কতটা নজর দিতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে । আইন আছে । সেটা প্রয়োগ হলে লাগাম টানা সম্ভব । আইন তো আর আলাদা করে টানা যায় না। সোমবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম(SSKM) হাসপাতালে গার্ডেনরিচের(Gardenrich) আহতদের দেখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়(Speaker Biman Bandopadhay)। এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে ঘুরে দেখেন গোটা এলাকা।
মুখ্যমন্ত্রীর(CM) সঙ্গে ছিলেন সুজিত বসু, ফিরহাদ হাকিম, মালা রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এদিন শোনা যায় বেআইনি নির্মাণের কথা। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ পেয়ে, তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর সংকীর্ণ রাস্তা দিয়েই তিনি চলে যান হাসপাতালে।ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মমতা বলেন, ‘‘এটা খুব ঘিঞ্জি এলাকা। মন্ত্রীরা সারা রাত এখানে ছিলেন। প্রোমোটারদের একাংশ বেআইনি ভাবে বাড়ি তৈরি করেন। তাদের আগে ভাবা দরকার, আশপাশে যাঁরা আছেন, তাঁদের যাতে ক্ষতি না হয়। আমি শুনলাম, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এই বহুতলটি তৈরি করা হয়নি। এখন রমজান মাস চলছে। সকলে উপোস করে থাকেন। তা-ও সারা রাত এলাকার মানুষ উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর, দমকল, পুলিশ, কাউন্সিলর সারা রাত ধরে কাজ করেছেন।’’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘এমন দুর্ঘটনায় আমরা মর্মাহত। দু’জন মারা গিয়েছেন। পাঁচ-ছ’জন এখনও আটকে। এক জনের পা আটকে। তবে তিনি বেঁচে আছেন। উদ্ধারকারীদের ভিতরে ঢুকতে সময় লেগেছে। এখন সকলে ঢুকে গেছেন। শোকস্তব্ধ পরিবারের কাছে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি। যাঁরা বেআইনি কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কড়া হবে। পরিবারের পাশে সরকার দাঁড়াবে। যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে, তৈরি করে দিতে বলব।’এদিকে গার্ডেনরিচে মৃত্যু সংখ্যা সন্ধ্যা পর্যন্ত বেড়ে হয় ৭।