দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা পূর্ব মেদিনীপুরে
নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বশাসিত সংস্থা। কাজ কী? নির্দিষ্ট একটি এলাকায় যা পুরসভা নয় সেখানে উন্নয়নের গতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বা উন্নয়নের অভিমুখকে ঠিক করে দেওয়া। সেই সংস্থার মাথার ওপরে থাকেন একজন চেয়ারম্যান যাকে রাজ্য সরকার নিযুক্ত করে। তিনি কোনও জনপ্রতিনিধি হতে পারেন বা রাজ্যের আমলাও হতে পারেন। আর থাকেন ভাইস চেয়ারম্যান, কার্যনিবাহী অফিসার হিসেবে মহকুমা শাসক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক পদমর্যাদার অফিসাররা। তাঁদের নিয়োগও হয় রাজ্য সরকারের নির্দেশেই। এছাড়াও সংস্থার নিজস্ব একাধিক ইঞ্জিনিয়ার থাকেন। রাস্তাঘাট, ড্রেন, আলো, সৌন্দর্যায়ন সহ নানারকম কাজ করে এই স্বশাসিত সংস্থা। রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর থেকে এধরনের সংস্থাকে উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তা করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদও(DSDA) সেই রকমই এক সংস্থা। এখন সেই সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। নেপথ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) একটি মন্তব্য।
গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী নবান্নের(Nabanna) সভাঘরে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার পারফরমেন্স নিয়ে বৈঠক করেন। যেহেতু দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে আছে তাই তাঁদের কাজ নিয়েও পর্যালোচনা হয়। আর সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এই সংস্থার আর কোনও প্রয়োজন নেই। শুধু তাই নয়, যাতে কেউ বিষয়টি হালকা চালে না নেন তার জন্য তিনি জানিয়ে দেন ওই সংস্থার আধিকারিক থেকে কর্মীদের অন্যত্র পোস্টিং দেওয়ার বিষয়ে যেন ভাবনাচিন্তা করা হয়। আর তারপর থেকেই গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তীব্র জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে।
১৯৯০সালে দীঘায় মাত্র ১৬টি মৌজা নিয়ে দীঘা প্ল্যানিং অথরিটি তৈরি হয়। তারপর দীঘা এবং রামনগর থানার ৪২টি মৌজা নিয়ে এর পরিধি বাড়ে। ১৯৯৩ সালে দীঘা প্ল্যানিং অথরিটি বদলে হয় দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। দীঘা সি-বিচ এবং সংলগ্ন এলাকায় উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়নে কাজ করে এই পর্ষদ। এই পর্ষদের মাধ্যমেই দীঘা ও তার সংলগ্ন এলাকার উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। সাজিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু এবার কী হবে? আর এখানে অন্য একটি সম্ভাবনাও জন্ম নিচ্ছে। আর তা হল দিঘাকে পুরসভা হিসাবেও হয়তো আগামী দিনে ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।