শ্রীলঙ্কায় বন্যায় এবং ভূমিধসে নিহত কমপক্ষে ১৪ জন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় মৌসুমি ঝড়ের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায়, ভূমিধস এবং গাছপালা উপড়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১৪ জন। আরও বেশ কয়েকজন ভূমিধসে মাটি চাপা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার(২ জুন) দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে। দেশটির রাজধানী কলম্বোর কাছে একই পরিবারের তিন সদস্যসহ আরও বেশ কয়েকজন জলে ডুবে মারা গেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) জানিয়েছে, ১১ বছর বয়সী এক শিশুকন্যা ও ২০ বছর বয়সী এক তরুণসহ আরও কয়েকজন ধসে যাওয়া মাটির নিচে জীবন্ত চাপা পড়েছেন। গত ২১ মে মৌসুমী ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর থেকে সাতটি জেলায় গাছ পড়ে আরও ৯ জন নিহত হয়েছেন। দেশের ২৫টি জেলার মধ্যে অন্তত ২০টি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ডিএমসি তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষকে উঁচু এলাকায় সরে যাওয়ার জন্য পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কলম্বোর প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অপেক্ষায় থাকা ফ্লাইটগুলোকে একটি ছোট বিমানবন্দরে নেমে যেতে বলা হয়েছে। তবে দেশটিতে আরও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া সংস্থা। যে কারণে চলতি সপ্তাহের ছুটির পর সোমবার থেকে দেশের সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বরাবরই শ্রীলঙ্কা জলবিদ্যুতের জন্য মৌসুমী বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাতেই ঘন ঘন বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে শ্রীলঙ্কা।বেশকিছু দিন আগেই শ্রীলঙ্কার বন্যপ্রাণী রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ সাতটি ছোট হাতির মরদেহ খুঁজে পেয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল পাঁচ বছরের মধ্যে এটিই দেশটিতে সর্বোচ্চ বন্যপ্রাণীর প্রাণহানি। তবে ঘন ঘন বন্যার কবলে পড়ে আতঙ্কে রয়েছে শ্রীলঙ্কা।