২৪’র ভোটে রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার আনন্দ কুমার
নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোটের(General Election 2024) দিনক্ষণ এখনও ঘোষিত হয়নি। কিন্তু যে কোনও দিন তা ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনও(Election Commission of India) তাই একের পর এক রাজ্যে যাচ্ছে অথবা তাঁদের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে এবং সেখানকার প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার ওপর তাঁদের নজরদারির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সেই সূত্রেই তাঁরা এবার বাংলার(Bengal) ক্ষেত্রে ২৪’র ভোটের জন্য রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার(Nodal Officer of West Bengal State Police) নিয়োগের সিদ্ধান্তে শিলমোহর দেওয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করলেন। এই পদের জন্য রাজ্য সরকার যে ৬জন পুলিশ আধিকারিকের নাম পাঠিয়েছিল তাঁদের মধ্যে থেকে কমিশন বেছে নিয়েছে রাজ্য পুলিশের বর্তমান ADG(Legal) আনন্দ কুমারের(Anand Kumar) নাম। তিনিই আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার হিসেবে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে বেশ কিছু নির্বাচনে দেখা গিয়েছে নোডাল অফিসারের কাজ করেছেন রাজ্য পুলিশের ADG(Law and Order)। কিন্তু এবার রাজ্য পুলিশের ADG(Legal) পদে থাকা আনন্দ কুমারকে বেছে নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে এই বাছাইয়ের প্রক্রিয়া খুব একটা সহজ ভাবে হয়নি। কেননা ২৪’র ভোটে রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসারের পদের জন্য রাজ্য সরকার ৩ দফায় নাম পাঠিয়েছিল। প্রথম দফায় তিন পুলিশকর্তার নাম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কমিশন ওই নামগুলি গ্রহণ করেনি। ফলে দ্বিতীয় দফায় আরও তিন পুলিশকর্তার নাম রাজ্য পাঠালে তা-ও বাতিল করে দেয় কমিশন। সূত্রের খবর তৃতীয় দফায় আরও যে তিন পুলিশকর্তার নাম পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে থেকেই আনন্দ কুমারকে নোডাল অফিসার হিসেবে মনোনীত করেছে কমিশন। রাজ্য পুলিশের তরফে বাহিনী মোতায়েন থেকে পুলিশকর্তাদের বদলি— সব কিছুই দেখভাল করবেন তিনি।
অন্যদিকে কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসার আগে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে সশরীরে বৈঠকে থাকার নির্দেশ দিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের(সিইও) কার্যালয়। শুক্রবার সিইও আরিজ় আফতাব ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকটি করেন। ফুলবেঞ্চের কাছে তাঁরা কী উপস্থাপনা (প্রেজ়েন্টেশন) দেবেন, তা খতিয়ে দেখা হবে ২৪ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলার ওপর। জেলাশাসকদের কী প্রয়োজন, অসমাপ্ত কী কাজ রয়েছে, বৈঠকে তথ্য নেওয়া হয় তারও। সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট বয়ান প্রত্যেককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ভিত্তিতে আগামী ৫ মার্চ কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে রিপোর্ট দিতে হবে তাঁদের।