বড় বিপদের মুখে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা, ফেরত দিতে হতে পারে বেতনের টাকা
নিজস্ব প্রতিনিধি: বড় বিপদের মুখে পড়ে গিয়েছে এ রাজ্যের(Bengal) প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকেরা(Primary School Teachers)। কেননা তাঁদের এবার নূন্যতম ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হতে পারে। বেতন বাবদ যে টাকা তাঁরা পেয়েছেন সেই টাকাই(Salary Should be Returned to Government) ফেরত দিতে হবে। কেননা যা পরিস্থিতি তাতে করে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকার Category পরিবর্তিত হয়ে যেতে চলেছে। রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে কাদের যোগ্যতামান A Category’র তা জানতে খোদ স্কুলশিক্ষা কমিশনারের দ্বারস্থ হচ্ছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সচিবরা। তাঁদের মধ্যে একাংশ আবার স্কুল সাব-ইনস্পেক্টরদের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষকদের Service Book Recast করতে হবে। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের যে সব প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা A Category’র মর্যাদা ধরে রাখতে পারবেন না, তাঁদের ন্যূনতম ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে।
এ রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা তাঁদের চাকরিকালে ১৮ বছরে একটাই Benefit পান। সেটা হলো, এই সময়ের মধ্যে তাঁদের পদোন্নতি হয়। পাশাপাশি বেতন দাঁড়ায় হাইস্কুলের শিক্ষকদের স্কেলের সমান। রাজ্য সরকারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মেনেই ২০০৬-এর ১ জানুয়ারি বা তারপর প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিযুক্ত শিক্ষকদের বড় অংশই মাধ্যমিক পাশ ও ১ বছরের শিক্ষকতার প্রশিক্ষণের প্রেক্ষিতে চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁদের সেই সময়েই A Category’র শিক্ষক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ হয় ২ বছরের। তাই অনেক শিক্ষকই ১ বছরের Bridge Course করে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ আপ-টু-ডেট করেন। এতদিন পর A Category’র হিসেবে গণ্য করা না হলে, Service Book Recast করতে হবে। আর তাতেই আসছে বেতন ফেরতের প্রশ্ন।
রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক প্রার্থীকে আর A Category হিসাবে গণ্য না করলে তাঁদের বেতন কাঠামোয় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে ২০১৩-র ৪ মার্চের সরকারি নির্দেশিকাকে দেখিয়ে যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা পরে এক বছরের ব্রিজ কোর্স করেছেন, সে দিন থেকেই তাঁদের A Category হিসেবে গণ্য করা হবে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টি রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের নীতিগত সিদ্ধান্ত। ওই দফতরের পাশাপাশি বিভাগের আইন শাখার নির্দেশ মেনেই শিক্ষকদের ক্যাটেগরি বিভাজনের কাজ করা হচ্ছে। যদিও স্কুলশিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকার সমস্যায় পড়তে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা আদালতের দ্বারস্থ হলে, তা নিয়ে জটিলতা বাড়বে।