শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নয়,সাংসদদের রেজিস্ট্রেশন করতে দিল্লির পথে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
নিজস্ব প্রতিনিধি: দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌছন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কিনা সে প্রসঙ্গে বলেন, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছি না। সাংসদদের রেজিস্ট্রেশন করতে রবিবার শেষ দিন। তাই যাচ্ছি। শনিবার আমাকে ফোন করেছিলেন পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী শপথ(Oath) গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসার জন্য । কিন্তু আমাদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাবে না। সেখানে কি করে যাই।তার নেতৃত্বে এবার দল পার্লামেন্টে চলবে সে প্রসঙ্গে বলেন, আমি আজকে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে দিচ্ছি। ছয় বারের সাংসদ(MP) আমি। পশ্চিমবঙ্গে আমার থেকে বেশি আর কেউ নেই।
নতুন সরকার প্রসঙ্গে বলেন, নতুন সরকারের হাল ভবিষ্যৎ সবই অনিশ্চয়তার মধ্যে। এরা দেশকে কতদিন অটুট ভাবে সরকার উপহার দিতে পারবে সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আমাদের নেত্রী। এই সরকারের থেকে আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই। এদিকে,শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার দুপুরে দিল্লি যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে(Kolkata Airport) এসে পৌছন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ও বর্ধমান দুর্গাপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এদিন বিমানবন্দরে তিনি বলেন, শপথ অনুষ্ঠানের যোগ দিতে আমন্ত্রণ পেয়েছি । দিল্লী যাচ্ছি। এছাড়াও দিল্লির বাসভবনে বেশকিছু মালপত্র আছে সেগুলো খালি করতে হবে। সেই জন্যই যাওয়া।
বিগত দিনে তার নানান মন্তব্য সে গুলো দিল্লি নেতৃত্বকে কি জানাবেন সে প্রসঙ্গে বলেন যা বলার ইতিমধ্যে বলে দিয়েছি। অন্যদিকে,দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে কলকাতা বিমানবন্দরে রবিবার দুপুরে এসে পৌঁছন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং(Arjun Singh)।কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি বলেন, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দল থেকে ডাক পেয়েছি, তাই যাচ্ছি।ফলাফল নিয়ে বলেন, জোর করে ভোট করানো হয়েছে। অবজারভার গুলো বিক্রি হয়ে গেছে, অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। বর্ষিয়ান নেতাদের মন্তব্য নিয়ে বলেন, আমি এটা বিশ্বাস করিনা। দলের কর্মীরা যথেষ্ট ভালো কাজ করেছে। যারা এটা বলছেন সেটা পাবলিকলি না বলাই উচিত। আমি কি করতে পেরেছি এবং ইলেকশন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সারা বাংলার মানুষ স্পষ্ট ভাবে দেখেছে, সেটা নিয়ে না বলার দলের মধ্যে কথা বলা হবে।ফিরহাদ হাকিমের টেম্পোরারি শপথ মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ভালো আছে, উনি ওয়েট করুন। উনি থাকবেন কি থাকবেন না, মোদিজি থাকবেন। উনি কবে ভেতরে যাবেন সেটা নিয়ে চিন্তা করুন, আমাদের নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।