গার্স্টিন প্লেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষোভের মুখে সুজিত
নিজস্ব প্রতিনিধি: শনি ভোরে কলকাতার(Kolkata) ডালহৌসি এলাকার গার্স্টিন প্লেসের শতাব্দী প্রাচীন বাড়িতে আগুন(Garstin Place Fire Incident) লাগার ঘটনা ঘটে। সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর এখনও মেলেনি। আগুনের জেরে বাড়িটির একাংশ ধসেও গিয়েছে। বাকি অংশ বেশ বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার জেরে এদিন দমকলের ৮টি ইঞ্জিন প্রায় ৪ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যে বহুতলের ৩ ও ৪ তলায় এদিন আগিন লাগে তার পাশেই রয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। তাই এই বহুতলে যেমন বেশ কিছু অফিস রয়েছে তেমনি বেশ কিছু আইনজীবীর নিজস্ব চেম্বারও রয়েছে। এদিন আগুন নিভে যাওয়ার পরে আইনজীবী ও বিভিন অফিসের কর্মীরা বাড়িতে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাঁদের বাধা দান করে। তা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে আইনজীবীদের(Lawyers) মধ্যে। পরে যখন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু(Sujit Basu) এলাকা পরিদর্শনে আসেন তখন তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীরা।
আইনজীবীদের দাবি, আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িতে থাকা তাঁদের চেম্বারে ছিল বহু মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই প্রায় সর্বস্ব। মামলার নথিপত্র পুড়ে যাওয়ার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এই প্রশ্ন তুলেই এদিন সুজিত বসুকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান আইনজীবীরা। তাঁদের প্রশ্ন, ওই বাড়িতে যে রাসায়নিক মজুত করে রাখা হয়েছে তা কেন পুলিশ আগে থেকে জানলো না? ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সুজিত বসু জানান, ‘বাড়িটি অনেক পুরনো। আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়িতে থাকা সকলকে তাড়াতাড়ি বের করা হয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই। শুনেছি এখানে রাসায়নিক মজুত করা ছিল। যদি সত্যি হয় খুব খারাপ বিষয়। পুলিশ, দমকলের তরফে তদন্ত করতে বলব। কলকাতায় বহু পুরনো বাড়ি রয়েছে। পুরসভাকে বলব সংস্কারের বন্দোবস্ত করা হোক। তবে কী কারণে ওই বাড়িটিতে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, এদিন ভোর ৩টের সময় ওই বাড়িতে আগুন লাগে। বাড়িটি বেশ ঘিঞ্জি এলাকায়। তার ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। বাড়ির ভিতর থেকে বারবার বিস্ফোরণের শব্দও শুনতে পাওয়া যায়।